১২ বছরের অপেক্ষার শেষ, পাহাড়ের গায়ে আবার ফুটল সেই ফুল
১২ বছর ধরে সকলে তাকিয়ে থাকেন চেনা পাহাড়গুলোর দিকে। অপেক্ষা একটাই, কবে ফের দেখা মিলবে সেই ফুলের। এবার সেই প্রতীক্ষার অবসান হল।

ফুল নিজের আনন্দেই রং ছড়িয়ে ফুটে ওঠে। প্রকৃতিরে খেলায় তা হাসি ছড়িয়ে দেয়। তারপর একদিন হারিয়ে যায়। ফের গাছে ফুল ধরে। রংয়ে, গন্ধে আবার ভরে ওঠে চারপাশ।
অধিকাংশ ফুলের ফোটা সব বছরে স্থির করা আছে। প্রতি বছর সেই সময় তা গাছের ডালে ভরে ওঠে। কিন্তু কিছু ফুল হয় যা ১ বছর, ২ বছর বা তার চেয়ে কিছু বেশি সময়ের ব্যবধানে দেখতে পাওয়ার সৌভাগ্য হয়না। একটি জীবনে সে ফুলের দিকে চাইবার, তার অপরূপ রূপে মোহিত হওয়ার সুযোগ হাতে গুনে পাওয়া যায়।
এমনই একটি ফুল ফোটে ভারতের দক্ষিণ প্রান্তের ৩ রাজ্য কেরালা, তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকে। নীল আর হালকা বেগুনি মিশে একটি মন ভোলানো রংয়ে সেজে সে ফুল ফোটে ১২ বছর অন্তর।
আর সেই ১২ বছরের প্রতীক্ষার শেষে ২০২১ সালে ফের ফুটল সেই ফুল। যা সকলে চেনেন নীলকুরিঞ্জি নামে। নীলকুরিঞ্জি ফুল অবশ্য ৪৬ রকমের হয়। যার এক একটির ফোটার সময়ের ফারাক এক এক রকম।
কিছু ধরণ আছে যা ১৪ বছর পরপর ফোটে। কিছু আবার ৫ বছর পরপর ফোটে। এবার যে নীলকুরিঞ্জি ফুলে ভরে উঠেছে কর্ণাটক, সেই ফুলগুলির দেখা মেলে ১২ বছর পরপর। এ ফুল শুধু দেখতেই অপরূপ নয়, এর গুণও রয়েছে। এই ফুলের ওষধি গুণ সর্বজনবিদিত।
ইতিমধ্যেই ৩টি পাহাড় ভরে উঠেছে এই নীলকুরিঞ্জি ফুলের শোভায়। পুরো পাহাড়ের গা ভরে রয়েছে এই ফুলে। ১২ বছর অপেক্ষার পর যখন ফুলটি ফের ফোটে তখন চারধারে শুধুই তার শোভা। নীলকুরিঞ্জিতেই ছেয়ে যায় চারধার।
কর্ণাটকের মাদিকেরীকে বলা হয় দক্ষিণের কাশ্মীর। এমনই সুন্দর সেখানকার পাহাড়, উপত্যকা। সেসব এখন ভরে রয়েছে এই নীলকুরিঞ্জি ফুলে।
১২ বছর পর তার দেখা মেলে। তাই দেশবিদেশের প্রকৃতিপ্রেমী মানুষজন এই সময়টার অপেক্ষায় থাকেন। ছুটে আসেন এই ফুল এক ঝলক দেখতে।
ইতিমধ্যেই কেবল এই ফুলের একটা ঝলক পাওয়ার জন্য দেশরে অনেক রাজ্য থেকে মানুষ ছুটে গেছেন দক্ষিণে এই ফুল চর্মচক্ষে দেখতে। যদিও করোনার কারণে এবার পর্যটকদের আনাগোনা অন্যবারের চেয়ে কম। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা