নীরজের রূপোলী ছোঁয়ায় বিশ্বমঞ্চে শাপমোচন, ইতিহাস লিখে স্বপ্নের দিন কাটাল দেশ
এ দেশের খেলাধুলোর ইতিহাসে আরও একটি অধ্যায় লিখলেন জ্যাভলিনে অলিম্পিকস সোনা জয়ী নীরজ চোপড়া। রবিবার স্বপ্নের দিন কাটালেন দেশের মানুষ।
ভারতের সোনার ছেলে নীরজ চোপড়া ফের এক নতুন ইতিহাস লিখলেন। দেশের জন্য না ছোঁয়া স্বপ্নকে ছুঁয়ে দিলেন তিনি। আজ পর্যন্ত বিশ্বমঞ্চে যে সম্মান ভারতের জন্য ছিল অধরা, তা রবিবার সকালে দেশ স্পর্শ করল নীরজ চোপড়ার হাত ধরে। ভারতের ক্রীড়া জগতে এক উজ্জ্বল ইতিহাস লিখে দিলেন নীরজ। দেশের ক্রীড়া মুকুটে যুক্ত হল আরও একটি পালক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অরিগনে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় রবিবার সকালে সকলেই তাকিয়ে ছিলেন ২৪ বছরের সোনার ছেলে নীরজ চোপড়ার দিকে। এদিন তিনি ফাইনালে সেরা থ্রো করেন ৮৮.১৩ মিটারের। জ্যাভলিনে এটা নীরজের জীবনের অন্যতম সেরা থ্রো।
অনেক আশা ছিল হয়তো সোনাটা হয়ে যাবে। কিন্তু তাঁকে পিছনে ফেলে দেন অ্যান্ডারসন পিটারস। তিনি ছোঁড়েন ৯০.৫৪ মিটার দূরত্বে। তাঁর পরে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন নীরজ।
তাঁদের পিছনে ৩ নম্বরে জায়গা হয় অলিম্পিকসেও নীরজের কাছে পরাজিত হওয়া জাকুব ভাদলিচ। তবে তাঁর থ্রো এদিন খারাপ ছিলনা। নীরজের চেয়ে সামান্য পিছনে গিয়ে গেঁথে যায় তাঁর ছোঁড়া জ্যাভলিন। ৮৮.০৯ মিটার দূরত্ব অতিক্রম করে সেটি।
নীরজ এদিন রূপোর পদক জয় করে নেন। এই প্রথম বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার মঞ্চে ভারত রূপোর পদক অর্জন করতে সমর্থ হল। তাও এল নীরজ চোপড়ার হাত ধরে।
বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় ভারতের পদক প্রাপ্তি কার্যত এতদিন দাঁড়িয়েছিল মাত্র ১টিতে। তাও ১৯ বছর আগে ২০০৩ সালে প্যারিসে বসা আসর থেকে ভারতের হয়ে প্রথম পদকটি এনে দিয়েছিলেন লং জাম্প তারকা অঞ্জু ববি জর্জ। তিনি পেয়েছিলেন ব্রোঞ্জ।
সেটাই ছিল বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় ভারতের একমাত্র পদক। এবার একধাপ উঠে নীরজ চোপড়া এনে দিলেন ইতিহাসের প্রথম রূপো। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা