রেকর্ডিং স্টুডিওতে একটি সোফায় শুয়ে ছিলেন সঙ্গীত পরিচালক অনু মালিক। তিনি পাশে বসে। তাঁকে আরও কাছে টানার চেষ্টা করেন অনু। অনু চাইছিলেন তিনি যেন ঘনিষ্ঠ হন। তাঁকে আকৃষ্ট করতে তাঁর চোখের তারিফ করছিলেন অনু মালিক। কিন্তু ওভাবে অনু মালিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে তাঁর আপত্তি ছিল। তিনি ছুটে বেরিয়ে আসেন এক সময়ে। সেখানেই শেষ নয়। তারপরও বারবার অনু মালিক তাঁকে মেসেজ করতে থাকেন। ফোন করতে থাকেন। যদিও সেসব ফোন ও মেসেজ তিনি এড়িয়ে যান। ট্যুইট করে নিজের এমনই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরলেন গায়িকা নেহা ভাসিন।
নেহা লেখেন, তাঁর তখন বয়স ২১ বছর। গিয়েছিলেন নিজের গাওয়া গানের সিডি অনু মালিককে দিতে। যদি একটা সুযোগ পাওয়া যায়! কিন্তু সেখানে যেভাবে তাঁকে শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ করার চেষ্টা সঙ্গীত পরিচালক করেন তা মেনে নেওয়া যায়না। অনু মালিককে সরাসরি শিকারি স্বভাবের নোংরা বিকৃতরুচি মানুষ বলে ব্যাখ্যা করেন নেহা।
অনু মালিকের ক্ষেত্রে অবশ্য এমন অভিযোগ নতুন নয়। লম্বা সারিতে এদিন নয়া নাম যোগ হল নেহা ভাসিন। গায়িকা আলিশা চিনয় থেকে কারালিসা মনটেরো, সোনা মহাপাত্র থেকে শ্বেতা পণ্ডিত। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গায়িকা অনু মালিককে বিকৃতরুচির বলে অভিযোগ করে সোচ্চার হয়েছেন। গায়িকাদের সঙ্গে অনু মালিক শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে চান বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে বারবার।
সোনা মহাপাত্র থেকে শ্বেতা পণ্ডিতরা অনু মালিকের এই প্রবণতার কথা জানানোর পর সেই অভিযোগকে সামনে রেখে তাঁকে ইন্ডিয়ান আইডল অনুষ্ঠানের বিচারকের আসন থেকে সরিয়ে দেয় সোনি টিভি। কিন্তু হালে তাঁকে ফের ফেরত আনা হয়েছে। নেহা ট্যুইটে ক্ষোভের সঙ্গেই জানিয়েছেন এই ইন্ডাস্ট্রি মোটেই সহজ ইন্ডাস্ট্রি নয়। এখানে এমন বিকৃতরুচির মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোথা থেকে এরা মহিলাদের এভাবে জীবন নষ্ট করার সাহস পান তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেহা। এদের ভয়ে কেন মহিলাদের ঘরের কোণায় আশ্রয় নিতে হবে।
নেহার দাবি, এমন ঘনিষ্ঠ হতে হবে বলে অনেক সময় তিনি পিছিয়ে এসেছেন। ঘরে ফিরেছেন। নেহার প্রশ্ন এমনটা কেন? শুধু এমন কিছু বিকৃতরুচির শিকারি ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে? তার জন্যই মহিলাদের ঘরে লজ্জায় মুখ লুকোতে হবে? সোনি টিভি ফের অনু মালিককে ইন্ডিয়ান আইডল-এ বিচারক করে ফিরিয়ে আনায় সোনির বিরুদ্ধেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা