World

রজঃস্বলাদের জন্য কুটির, ৩ মৃত্যুর পর প্রথা ভাঙতে উদ্যোগী এক তরুণী

মাসিকের সময় মেয়েদের থাকতে হবে বাড়ির বাইরে একটি কুটিরে। মাটি আর পাথরের তৈরি অপরিসর সেই ঘরই হবে মাসিকের দিনগুলোয় তাঁর ঠিকানা। এমনকি তাঁর সঙ্গে তাঁর সন্তানরাও সেখানে থাকেন অনেক সময়। নেপালে এ প্রথা আজকের নয়। বহুকাল ধরে চলে আসছে এই প্রথা। ‘ছৌপদী’ নামক এই কুসংস্কার নেপালে অনেক মহিলার জীবন আকালে কেড়ে নিয়েছে।

গত ৮ জানুয়ারি এক মহিলা রজঃস্বলা হওয়ায় তাঁর ৯ ও ১২ বছরের ২ ছেলেকে নিয়ে তাঁকে এমনই ছৌপদী-তে রাতে পাঠায় তাঁর পরিবার। নেপালে এখন প্রবল ঠান্ডা। তারমধ্যে মাটি আর পাথর দিয়ে বানানো সেই জানালা হীন ঘরে শরীর গরম রাখতে জ্বলছিল কেবল একটি লম্ফ। পরদিন ওই মহিলার শাশুড়ি ঘর খুলে দেখেন ৩ জনই মৃত অবস্থায় ঘরে পড়ে আছেন। বদ্ধ ঘরে লম্ফের ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়েই তাঁদের মৃত্যু হয়। এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসনকেও।


এই ঘটনার পর প্রথার নামে চালানো এমন কুসংস্কারকে দেশ থেকে মুছে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছেন একটি পৌরসভার ডেপুটি মেয়র সৃষ্টি রেগমি। বছর ২৬-এর এই তরুণী এখন নিজে উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন গ্রামের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছেন। সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন ছৌপদী প্রথার ভয়ংকর দিক। এই প্রথা বন্ধ করতে পরামর্শ দিচ্ছেন সকলকে। তাঁর এই লড়াইয়ে ইতিমধ্যেই কিছু মানুষকে পাশে পেয়েছেন তিনি।

(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button