নেপালে প্রবল বর্ষণ অব্যাহত। ফলে ক্রমশ পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত একটানা প্রবল বর্ষণে বন্যা ও ধসের কবলে পড়ে ৪৩ জনের প্রাণ গেছে। কেবল কাঠমান্ডু থেকেই ২ হাজারের ওপর মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে এনেছে প্রশাসন। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় দুর্গত অবস্থায় বাঁচার লড়াই চালাচ্ছেন মানুষজন। রবিবারের পর নেপালে বৃষ্টি কমার কথা। আপাতত সেই অপেক্ষায় মানুষজন।
গত বৃহস্পতিবার থেকে নেপালে বৃষ্টি শুরু হয়। সেই বৃষ্টি ক্রমশ বেড়েছে। চলেছে একটানা। বিরামহীন প্রবল বৃষ্টিতে হিমালয়ের কোলের এই দেশের বিভিন্ন অংশে ক্রমশ জল বাড়তে থাকে। জলের হাত থেকে রেহাই পায়নি খোদ রাজধানী কাঠমান্ডুও। নেপালের আবহাওয়া দফতর অবশ্য এমন বৃষ্টিকে নেপালে নতুন প্রবণতা বলে ব্যাখ্যা করছে। আগে নেপালের আবহাওয়া এমন ছিলনা। এভাবে দিনের পর দিন নাগাড়ে বৃষ্টি হতনা। কিন্তু এখন হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সেখানকার আবহবিদরা।
নেপালের জুডি, সিংঘিয়া, লোহান্দ্রা, বাকরাহা, কেশলিয়া সহ বিভিন্ন নদী বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বহু এলাকা প্লাবিত করছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষকে পরিবার নিয়ে নিরাপদ স্থানে পালাতে বাধ্য করছে। বড় ধাক্কা খেয়েছে সড়ক যোগাযোগও। নেপালের অনেক রাস্তা জলের তলায় চলে গেছে। অনেক রাস্তায় ধস নেমেছে। ফলে সেসব রাস্তা বন্ধ। বন্ধ যান চলাচল। একে বৃষ্টি। বিভিন্ন এলাকায় জল ঢুকছে। তারমধ্যে সড়ক যোগাযোগ মুখ থুবড়ে পড়ায় সমস্যা আরও জটিল আকার নিয়েছে।
পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় নেপালের বিভিন্ন এলাকায় ধস নামছে। বৃষ্টির জেরে পাহাড়ের মাটি আলাদা হয়ে ধস অনেক জায়গায় পাহাড়ের কোলে অবস্থিত জনবসতির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ফলে সেখানে অনেক বাড়ি নষ্ট হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন অনেকে। পানিয় জলের অনেক জায়গায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। বহু চাষের জমিতে জল ঢুকে গেছে। গবাদি পশুগুলির অবস্থাও শোচনীয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা