বেড়াতে গেলে হোটেলই একমাত্র ভরসা। বেড়ানো অবশ্য হয়ে গিয়েছিল। বাড়ি ফিরছিলেন সকলে। ১৫ জনের একটি দল গিয়েছিল নেপালে বেড়াতে। নেপালের পোখরা ঘুরে ফেরার সময় দমন নামে জায়গায় একটি হোটেলে ওঠেন তাঁরা। রাতটা কাটিয়ে পরদিন সকালে ফেরার জন্য এগোবেন তাঁরা। কিন্তু সেই ফেরা আর হল না। হোটেলের ঘর থেকে ৮ জনের অচেতন দেহ উদ্ধার হয় সকালে। দ্রুত হেলিকপ্টারে তাঁদের কাঠমান্ডুর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
১৫ জনের ওপর দলের সঙ্গে কথা বলার পর ও হোটেলের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলার পর পুলিশ জানতে পারে, ১৫ জনের ওই দলের জন্য ৪টি ঘর বুক করা হয়েছিল। ৪টি পরিবার। ৪টি ঘর। কিন্তু তারমধ্যে ২টি পরিবার একই ঘরে রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেয়। স্বামী-স্ত্রী ও তাঁদের ২টি করে সন্তান। সব মিলিয়ে ৮ জন হোটেলের ঘরে ঢোকেন গত সোমবার রাতে। বাইরে তখন প্রবল ঠান্ডা। ফলে ঘরে জ্বলছিল ঘর গরম রাখার যন্ত্র রুম হিটার।
পুলিশ জানাচ্ছে, হোটেলের ওই ঘরের সব জানালা ও দরজা বন্ধ করা ছিল। ফলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে হিটার থেকে গরম ধোঁয়ায় কোনওভাবে দম বন্ধ হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকালে তাঁদের ঘরে টোকা দিয়েও সাড়া না পেয়ে হোটেলের কর্মীদের দিয়ে ঘর খুলিয়ে দেখা যায় ৪টি শিশু সহ ৮ জন অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তাঁদের হেলিকপ্টারে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কেরালার তিরুবনন্তপুরম থেকে ১৫ জনের ওই দলটি নেপালে বেড়াতে গিয়েছিল। ৮ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা