করোনা ভাইরাস সংক্রমণের উদ্বেগ থেকে অনেক দেশই নানা ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করছে। বিশেষত বিদেশিদের আগমনের ওপর। যার সরাসরি প্রভাব পড়ল নেপালে। নেপাল সরকার গত শুক্রবারই জানিয়ে দিয়েছিল তাদের দেশ থেকে সব ধরনের পাহাড়ে চড়া বন্ধ রাখছে তারা। যারমধ্যে এভারেস্টেও রয়েছে। ভিসা অন অ্যারাইভাল-এর যে সুযোগ বিদেশিরা নেপালে পেয়ে থাকেন সেই সুযোগও স্থগিত করে নেপাল সরকার। এই সিদ্ধান্তের সরাসরি প্রভাব পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষের ওপর।
গ্রীষ্মকালে পাহাড়ে চড়তে নেপালে বহু বিদেশির ভিড় জমে। এবার পাহাড়ে চড়ায় নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা অন অ্যারাইভাল বাতিল হওয়ায় তাঁদের ভিড় প্রায় হবেই না। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে পাহাড়ে চড়ার সঙ্গে যুক্ত নেপালের মানুষজনের। এখানে কেউ শেরপার কাজ করেন, কেউ মাউন্টেনিয়ারিং গাইড, কেউ ট্যুর গাইডের কাজ করেন। এঁরা সকলেই কর্মহীন হয়ে পড়লেন। পাহাড়ে চড়তে মানুষ এলেই এঁরা কিছু রোজগারের মুখ দেখেন। সেখানেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা।
নেপালে এছাড়াও মার খাবে হোটেল ব্যবসা। লজ ব্যবসা। খাবার দোকান। এছাড়া পর্যটকদের সামনে রেখে যে জিনিসপত্র বিক্রির বাজার রয়েছে সেসব ব্যবসায়ীরাও মাথায় হাত দিয়ে বসেছেন। এখন সকলেই চাইছেন করোনা উদ্বেগ যেন দ্রুত বিদায় নেয়। ফের ফিরে আসে তাঁদের সাধারণ দিন। কারণ নেপালের একটা বড় অংশের মানুষেরই বড় ভরসা কিন্তু পর্যটন। আর সেখানেই থাবা বসিয়ে দিয়েছে করোনা উদ্বেগ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা