বন্যার তোড়ে মিলিয়ে গেল বাসিন্দা সমেত ১১টি বাড়ি
বন্যার জলের তোড়ে ভেসে গেল ১১টি বাড়ি। বাড়ির ১৪ জন বাসিন্দাও নিখোঁজ।
কাঠমান্ডু : টানা বৃষ্টি চলছে। ফলে জল বাড়ছিল নদীগুলিতে। পাহাড়ি এলাকা। ফলে জল উঁচু জায়গা থেকে নেমেও আসছিল। যা দ্রুত জল বাড়িয়ে দিচ্ছিল। অবশেষে দুকুল ছাপিয়ে জল ঢুকতে শুরু করল লোকালয়ে। লোকালয়ের মধ্যে দিয়েই প্রবল স্রোতে বইতে শুরু করল বন্যার জল। যা ক্রমশ জটিল আকার নিচ্ছে। এরমধ্যেই বন্যার প্রবল জলের তোড়ে ভেসে গেছে ১১টি বাড়ি। চোখের নিমেষে বাড়িগুলি তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে মিশে যায় জলে।
প্রবল তোড়ে আস্ত বাড়িগুলোকে খড়কুটোর মত টেনে নিয়ে যায় বন্যার জল। বাড়ির ১৭ বাসিন্দাও বার হওয়ার সময় পাননি। পরে ৩ জনকে জল থেকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও ১৪ জনের কোনও খোঁজ নেই। ঘটনাটি ঘটেছে নেপালে। নেপালের সিন্ধুপালচক এলাকায় প্রবল বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ক্রমশ বাড়ছে জল। ইতিমধ্যেই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বন্যায়।
পাহাড়ি এলাকা। ফলে নদীর জল এমনিতেই খরস্রোতা। তারমধ্যে জল বাড়ছে। এরমধ্যে শুরু হয়েছে পাহাড়ি ধস। বন্যার জন্য নেপালের সড়কপথে বৈদেশিক বাণিজ্যও ধাক্কা খাচ্ছে। ভোটেকোশি এলাকাতেও জলের তোড়ে ২টি বসতবাড়ি ভেসে গেছে। এই ২টি বাড়ির ৪ বাসিন্দা নিখোঁজ। ২ জনকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা