রামের জন্ম তাদের দেশে দাবি করে মন্দির বানাচ্ছে নেপাল
রাম মন্দির যখন তৈরি হওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে অযোধ্যায় তখন তাদের দেশেও রামের মন্দির প্রতিষ্ঠা শুরু করল নেপাল সরকার। দাবি করল রামের জন্ম নেপালেই।
কাঠমান্ডু : ভগবান শ্রী রামের জন্ম হয়েছিল নেপালে। উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় নয়। এমন দাবি করে কার্যত চমকে দিয়েছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি।
গত ১৪ জুলাই এমন একটা দাবি ওলি করার পর বিশ্বজুড়েই হৈচৈ পড়ে। কারণ অযোধ্যায় রাম মন্দির গঠন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। রামের জন্মস্থান হিসাবে অযোধ্যাই পরিচিত। সেখানে নেপালের দাবি কিছুটা চমক তৈরি করে। এবার আর এক চমক দিল ভারতের প্রতিবেশি দেশ।
নেপাল সরকার এবার স্থির করেছে তাদের দাবি মত সেখানকার যে স্থানে রামের জন্ম হয়েছিল বলে ধরা হয় সেই চিতওয়ান জেলার মাডী পুরসভার অন্তর্গত এলাকায় তৈরি করা হবে অযোধ্যাপুরী ধাম।
১০০ বিঘা জমিও তারা চিহ্নিত করে ফেলেছে। সেখানেই তৈরি হবে বিশাল চত্বর জুড়ে সুবিশাল মন্দির।
নেপালের প্রধানমন্ত্রী আরও সুর চড়িয়ে দাবি করেছেন ভারত সরকার অযোধ্যা বলে যে এলাকাকে দাবি করছে তা আদৌ অযোধ্যাই নয়। তাদের দেশে রয়েছে অযোধ্যা। সেখানেই রামের জন্ম হয়েছে।
ভারত তাদের ওপর এভাবে সাংস্কৃতিক হামলা চালাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক সম্প্রতি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। নেপালের অতিরিক্ত চিন ঘেঁষা মানসিকতা এর পিছনে বড় ভূমিকা পালন করছে। সীমান্তকে কেন্দ্র করেও ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে।
এই অবস্থায় নেপালের প্রধানমন্ত্রীর এমন দাবি ও এভাবে রামের জন্মস্থান বলে নেপালের নির্দিষ্ট এলাকাকে দাবি করে সেখানে ধাম বানানোর পরিকল্পনা তলানিতে ঠেকা সম্পর্কে ঘৃতাহুতি দিয়েছে।
নেপাল অযোধ্যাপুরী ধাম বানাতে আর দেরিও করতে চাইছে না। বরং কোনও অজানা কারণে কিছুটা তাড়াহুড়োই করছে। ইতিমধ্যেই মাডী পুরসভা এলাকার এই ১০০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ ও তা খালি করার নির্দেশ দিয়েছে নেপাল সরকার।
দ্রুত এলাকা ফাঁকা করে রাম, সীতা ও লক্ষ্মণের মূর্তি সেখানে স্থাপনের জন্যও পুরসভাকে চাপ দিয়েছে সরকার। কেন এত তাড়াহুড়ো তা অবশ্য পরিস্কার নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা