আস্থা ভোটে হার, পড়ে গেল প্রতিবেশি দেশের সরকার
আস্থা ভোটে হেরে গেল সরকারপক্ষ। ফলে প্রতিবেশি দেশে তৈরি হল রাজনৈতিক অচলাবস্থা। পড়ে গেল ক্ষমতাসীন সরকার। আস্থা ভোটে হারে নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত।
হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভ-এ যাদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা তারাই সরকার গড়ে। তাই ভারতের প্রতিবেশি দেশে হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভ-এ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হয়।
যা ২০১৮ সালে সরকার গঠনের পর দিয়েছিল ক্ষমতাসীন সরকার। কিন্তু সোমবার আস্থা ভোটে তারা হেরে গেল। ফলে সরকার পতনের পরিমণ্ডল তৈরি হয়ে গেল।
ভারতের প্রতিবেশি দেশ নেপালে ওলি সরকার সোমবার আস্থা ভোটে হেরে যায়। ২৭১ আসনের হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভ-এ ১৩৬টি ভোট দরকার ছিল প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি-র। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় তিনি পান ৯৩টি ভোট।
অন্যদিকে বিপরীতে পড়ে ১২৪টি ভোট। ১৫ জন ভোট দান থেকে বিরত থাকেন। এদিন ২৭১ জনের মধ্যে ২৩২ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
ওলির দল সিপিএন-ইউএমএল-এরই ২৮ জন সদস্য তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে ভোটদান করেন। সেখানেই কার্যত হার নিশ্চিত হয়ে যায়।
এছাড়া নেপালি কংগ্রেস পার্টির ৬১ জন সদস্যের ভোট এবং কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (মাওইস্ট সেন্টার)-এর ৪৯টি ভোট তাঁর বিরুদ্ধে পড়ে।
ফলে আস্থা ভোটে মুখ থুবড়ে পড়ে ওলি সরকার। এখন নেপালে সরকার গঠন কীভাবে হয় সেদিকে তাকিয়ে সকলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা