বার্তা বুকে করে পশুপতিনাথ থেকে কাশী বিশ্বনাথের দিকে ছুটল ৫০টি বাইক
পশুপতিনাথ থেকে কাশী বিশ্বনাথ। এই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করাকে লক্ষ্য করে ৫০টি বাইক পাড়ি দিল। নেপাল থেকে তারা হাজির হবে বেনারসে।
নেপালের কাঠমান্ডুতে গিয়ে যদি পশুপতিনাথ দর্শন বাকি থেকে যায় তাহলে নেপাল ভ্রমণই বৃথা। ঠিক যেমন কাশীতে গিয়ে বিশ্বনাথ দর্শন বাকি থেকে যাওয়া। কাঠমান্ডু হোক বা কাশী, স্থান মাহাত্ম্য দাঁড়িয়েই আছে পশুপতিনাথ ও বিশ্বনাথ মন্দিরের ভরসায়।
এবার এই ২ দেবস্থানকে হাতিয়ার করেই সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও নিবিড় করার রাস্তায় পা বাড়াল ভারত ও নেপাল। নেপালের কাঠমান্ডুর পশুপতিনাথকে সাক্ষী রেখে এদিন ৫০টি বাইকের একটি দল পাড়ি দিল ভারতের কাশী বিশ্বনাথের উদ্দেশে।
২ প্রতিবেশি দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে দৃঢ় করার পাশাপাশি ২ দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে তাঁদের সংস্কৃতি পৌঁছে দেওয়া, তাঁদের এ বিষয়ে আরও বেশি করে শিক্ষিত করে তোলাও এই বাইক মিছিলের আর এক উদ্দেশ্য। যেখানে ২ দেশের মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ করার কথা বলা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার পশুপতিনাথের সামনে সবুজ পতাকা নেড়ে এই বাইক মিছিলের যাত্রারম্ভ করান নেপালের সংস্কৃতি মন্ত্রী প্রেম বাহাদুর এলে এবং ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় মোহন কতরা।
যাত্রাপথে এই বাইক মিছিল পৌঁছবে মোতিহারী, সারনাথ, গোরক্ষনাথ মঠে। ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে চলা আজাদি কি অমৃত মহোৎসব-এর অংশ হিসাবেও এই বাইক মিছিলকে দেখা হচ্ছে।
এই বাইক মিছিলের যৌথভাবে আয়োজন করেছে নেপাল ও ভারতের দূতাবাস। বাইক মিছিলে যেমন নেপালের নাগরিক রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন ভারতের নাগরিক। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা