বিদেশের মাটিতে বড় বিতর্কের মুখে রামদেবের পতঞ্জলি
বাবা রামদেবের পতঞ্জলি সংস্থার নাম সকলের জানা। সেই সংস্থা এর আগেও নানা বিতর্কে জড়িয়েছে। এবার ফের নতুন বিতর্কের মুখে পড়তে হল পতঞ্জলি টিভি-কে।
বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলির ২টি চ্যানেল রয়েছে। সে ২টি নিয়ে গত শুক্রবার ভারতের প্রতিবেশি দেশ নেপালে পা রাখেন রামদেব।
আস্থা নেপাল টিভি এবং পতঞ্জলি নেপাল টিভি নাম দিয়ে নেপালের মাটিতে পা রাখা পতঞ্জলি শুক্রবার তাদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সঙ্গে পায় নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবাকে। তিনিই উদ্বোধন করেন চ্যানেল ২টির। যা নেপালের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেল শুক্রবার থেকে।
অনুষ্ঠানে বাবা রামদেব আরও একটি বিশেষ আশ্বাস পান নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে। শের বাহাদুর দেউবা জানিয়ে দেন, পতঞ্জলির বিভিন্ন উৎপাদনের জন্য তিনি নেপালে পতঞ্জলিকে জমি দেবেন।
এই পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। কিন্তু গোল বাঁধে নেপালের তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল গগন বাহাদুর হামাল বেঁকে বসায়।
গগন বাহাদুর জানিয়েছেন, নেপালের আইন বলে তাদের দেশে টিভি বা সিনেমায় কোনও বিদেশি লগ্নি হতে পারবেনা। সেক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার কথা নয় পতঞ্জলির ২টি চ্যানেলের।
যদি তারা আইন মোতাবেক রেজিস্ট্রেশন না নিয়েই চ্যানেল শুরু করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেন গগন বাহাদুর। নেপালে টিভি বা সিনেমায় বিদেশি লগ্নি হতে হলে তার জন্য বিশেষ অনুমতির দরকার পড়ে।
গগন বাহাদুর হামাল-এর বক্তব্যের পর নেপালে ফের বিতর্কে জড়াল পতঞ্জলি। এর আগে গত জুন মাসে পতঞ্জলির করোনিলের বিক্রি সে দেশে বন্ধ করে দেয় নেপাল সরকার।
এদিকে পতঞ্জলির ২টি চ্যানেল নিয়ে বিতর্ক আরও একটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। যে ২টি চ্যানেল সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজে উদ্বোধন করলেন তা এভাবে খোলাখুলি বিতর্কে জড়াল কীভাবে? তাহলে কি কোনও খবর না নিয়েই প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করে দেন চ্যানেল ২টির? প্রশ্ন উঠছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা