প্রতিবেশি দেশের জেলে বন্দি অবস্থায় কাটাচ্ছেন তিলোত্তমার তরুণ চিত্র সাংবাদিক
প্রতিবেশি দেশের জেলে ৭ মাস ধরে বন্দি দশা কাটাচ্ছেন এ শহরের তরুণ চিত্র সাংবাদিক। তাঁর কথা জানার পর তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন অনেকে।
তিনি বিমানে যাত্রা করছিলেন। প্রতিবেশি দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে শুরু করে সেখানকার পর্যটনের খুঁটিনাটি তিনি তাঁর ক্যামেরার লেন্সের মধ্যে দিয়ে পৌঁছে দেন বহু মানুষের কাছে। এতে লাভ হয় সে দেশের পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরও।
কলকাতা শহরের বাসিন্দা সেই তরুণ চিত্র সাংবাদিক দুর্লভ রায়চৌধুরী উড়ে যাচ্ছিলেন নেপালে। সেখানে চন্দ্রগঢ়ী বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নেপাল পুলিশ। অভিযোগ দুর্লভের কাছে ডলারের ফটোকপি পাওয়া গিয়েছিল।
সেটা ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বরের কথা। তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয়। আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে জেলে পাঠায়। তারপর থেকে ঝাপা জেলেই বন্দিদশায় রয়েছেন ২৪ বছরের দুর্লভ। ইতিমধ্যেই ৭ মাস কেটে গেছে ওই জেলে।
ঘটনার কথা জানতে পেরে নড়েচড়ে বসেছেন ন্যাশনাল ফোরাম অফ ফটো জার্নালিস্টস-এর চেয়ারপার্সন প্রদীপ রাজ ওন্টা। ওন্টা নেপাল সরকারকে জানিয়েছেন দুর্লভ কোনও ভুয়ো নোট নিয়ে যাচ্ছিলেন না। তিনি নির্দোষ। তাই তাঁকে যেন ছাড়ার বন্দোবস্ত করা হয়।
সাউথ এশিয়া ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি রাহুল বড়ুয়া-ও দুর্লভকে ছাড়ানোর উদ্যোগে শামিল হয়েছেন। আইনি, প্রশাসনিক ও আর্থিক সাহায্য দেওয়ারও বন্দোবস্ত করেছেন রাহুল।
কাঠমান্ডুতে ভারতীয় দূতাবাসও দুর্লভকে যাবতীয় আইনি সাহায্য প্রদান করছে। এমনকি নেপালের পর্যটনশিল্পের সঙ্গে যুক্ত সেখানকার মানুষও দুর্লভের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
প্রসঙ্গত ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক, ওয়ার্ল্ড স্ট্রিট ফটোবুক, টাইমস অফ ইন্ডিয়া সহ বিভিন্ন প্রথমসারির পত্রিকায় কলকাতার ছেলে দুর্লভের তোলা ছবি প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। দুর্লভ একজন ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার হিসাবে ছবি তুলে বেড়ান। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা