প্রাণ বাজি রেখে দুর্গম পাহাড়ি পথে কুংফু নানদের দুঃসাহসিক অভিযান
তাঁরা বেরিয়ে পড়েছেন। এটাই প্রথম নয়। বারবার বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। তাঁরা কুংফু নান। তাঁরাই উপাসনার পাশে অন্যের কথা ভেবে জীবন বাজি রাখতে জানেন।
জীবনের ঝুঁকি রয়েছে পদে পদে। যে কোনও সময় বিপদ ঘটে যেতে পারে। তবে এসব ভয় তাঁদের পা-কে থামাতে পারেনা। বরং তাঁরা ছুটে চলেন প্যাডেলে পা রেখে।
সাইকেলের প্যাডেলে তাঁরা বিভিন্ন সময়ে পা রেখেছেন। আর যখনই তাঁরা সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছেন তখনই কোনও মানবসেবামূলক বার্তা তাঁদের সঙ্গী হয়েছে।
এই কুংফু নানরা হলেন হিমালয়ের বৌদ্ধদের একটি শাখা। যাঁরা ড্রুকপা অর্ডার-এর সদস্য। ১ হাজার বছর পুরনো ড্রুকপা অর্ডারের কুংফু নানেরা এবার জলবায়ু পরিবর্তনকে রুখতে পথে নামলেন।
তাঁদের একার পক্ষে তা সম্ভব নয়। তবে কি করলে জলবায়ু পরিবর্তনকে রোখা যাবে সেটা তাঁরা শেখাতে চাইছেন মানুষকে। এজন্য কাঠমান্ডু থেকে তাঁরা বেরিয়ে পড়েছেন আগেই। লক্ষ্য নেপালের পাহাড়ি দুর্গম এলাকা ছুঁতে ছুঁতে হিমালয়ের পাহাড় ধরে মুসতাং পৌঁছনো।
নেপালের দুর্গম পথেই তাঁরা বার হন তাঁদের সাইকেল নিয়ে। এসব সাইকেল দুর্গম পথে চলার উপযোগী। বিপদের কথা মাথায় রেখে কুংফু নানদের পরনে থাকে বিশেষ পোশাক।
মাথায় হেলমেট। পা ও হাঁটুর সুরক্ষায় বিশেষ পরিধান। এভাবেই তাঁরা বিভিন্ন সময় নেপালের পাহাড়ে পাহাড়ে ঘুরে বেড়ান। বিভিন্ন বার্তা ছড়িয়ে দেন। এবার তাঁদের বার্তা জলবায়ু পরিবর্তনকে রোখা।
লাদাখে জন্ম এই ড্রুকপা শাখার। যা ১ হাজার বছর আগে তৈরি হয়েছিল। তারপর থেকে এখনও এই ড্রুকপা অর্ডার অগুনতি বার নজর কেড়েছে তাদের বিশ্বশান্তি ও সুরক্ষাকে সামনে রেখে বিভিন্ন কাজকর্মে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা