প্রতিবেশি দেশে রয়েছে আর এক তাজমহল, চাইলে ঘুরে আসতে পারেন
তাজমহল তো সকলের জানা। কিন্তু আর এক তাজমহল রয়েছে প্রতিবেশি দেশেও। সেখানে পাহাড়ের খাঁজে, নদীর ধারে এ তাজমহল দেখতে বহু মানুষ হাজির হন এখানে।
তাজমহল নিয়ে নতুন করে কাউকে কিছু বলা প্রয়োজন পড়েনা। আগ্রার সেই তাজমহল বিশ্বখ্যাত। কিন্তু ভারতের উত্তরপ্রান্তে নেপালেও রয়েছে আর এক তাজমহল। যাকে নেপালের তাজমহল বলা হয়।
তাজমহলের মতই নেপালের এই তাজমহলও প্রেমের সৌধ। নেপালের পালপা জেলার কালী গণ্ডকী নদীর ধারে এক অপরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশে পাহাড়ের ঢালে তৈরি করা হয়েছিল এই নেপালের তাজমহল। যার আসল নাম রানি মহল।
১৮৯৩ সালে জেনারেল খড়গ শামসের জং বাহাদুর রাণা এই রানি মহল নির্মাণ করেন। ১৮৮৭ সালে সিংহাসনচ্যুত হওয়ার পর রাজা খড়গ শামসেরকে কার্যত এই পালপা জেলায় নির্বাসিত করা হয়।
খড়গ শামসের জং বাহাদুর রাণা তাঁর শেষ স্ত্রী, যিনি ছিলেন তাঁর ছোট বউ, তাঁকে খুবই ভালবাসতেন। সেই রানি ১৮৯২ সালে মারা যান। তাঁর প্রতি ভালবাসাকে অমর করে রাখতে খড়গ শামসের এই স্মৃতি সৌধ তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। স্ত্রীর প্রতি ভালবাসা তাঁর এতটাই ছিল যে রানি মহল তৈরির পাশাপাশি এই মহল লাগোয়া জঙ্গলের নাম রাখেন রানি বন।
রাজা ১৯০২ সালে এই মহল ছেড়ে রাতারাতি পরিবার নিয়ে ভারতে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন। কিন্তু থেকে যায় তাঁর রানি মহল। যদিও তা পড়ে থাকে অবহেলায়।
দীর্ঘ সময় পর নেপাল সরকার সেই রানি মহলকে পুনরুদ্ধার করে তাকে এক পর্যটন স্থলে রূপান্তরিত করে। এখন বহু পর্যটক নেপালের তাজমহল বলে বিখ্যাত রানি মহল দেখতে ও তার চারধারের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এই কালী গণ্ডকী নদীর ধারে হিমালয়ের কোলে ছুটে আসেন।