৪ বছর বয়সে এভারেস্টের সাড়ে ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় পৌঁছে গেল ছোট্ট মেয়েটা
তার বয়সে বাড়ি থেকেই অনেক শিশুকে যত্ন করে বার করেন অভিভাবকরা। সেখানে সে ওই বয়সে পৌঁছে গেল এভারেস্টের সাড়ে ১৭ হাজার ফুটের ওপর।
বিশ্বে এর আগে এত কম বয়সে এই রেকর্ড আর কারও নেই। অনেক অভিভাবক নিয়ে যাওয়া তো দূর, এমনটা ভাবার দুঃসাহসও দেখাবেন না। কিন্তু বাবার সঙ্গে ছোট্ট মেয়েটা গুটি গুটি পায়ে এভারেস্টেরে বেস ক্যাম্পে পৌঁছে গেল। রাস্তায় যে প্রাকৃতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি এমনটা নয়।
ঠান্ডা ছিল মাইনাস ২৫ ডিগ্রি। বরফ ভেঙে এগিয়ে চলা। মেয়েটি কিন্তু তা করে দেখাল। যা ওই একরত্তি মেয়ের পক্ষে অসম্ভব ছিল বলেই মনে করছিলেন সকলে।
তবে তার বাবা তাকে আগে থেকেই এভারেস্টের জন্য তৈরি করেছিলেন। এভারেস্টে চিনের দিক থেকে আর নেপালের দিক থেকে ওঠা যায়। ২ দিকে ২টি বেস ক্যাম্প রয়েছে।
মালয়েশিয়ার জঙ্গলে ট্রেক করিয়ে, বরফ জলে স্নান করানো অনুশীলন করিয়ে আদপে তাঁর ৪ বছরের মেয়েকে আগে থেকেই তৈরি করছিলেন তার বাবা। চেক প্রজাতন্ত্রের নাগরিক ওই ব্যক্তি তাঁর ৪ বছরের মেয়ের শারীরিক পরীক্ষা করতে করতেই বেস ক্যাম্পে পৌঁছে যান।
এটা অবশ্যই এক বিরলতম কৃতিত্ব হয়ে রইল। যে বয়সে ভাল করে কথা ফোটে না, সেই বয়সে ঠান্ডাকে অগ্রাহ্য করে এভাবে এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে পৌঁছে যাওয়া অবশ্যই এক উদাহরণ হয়ে থাকবে।
৪ বছর ৫ মাসে জারার এই কৃতিত্ব এখন বিশ্বের তাবড় সংবাদমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে। এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে পৌঁছেও জারার কিন্তু কোনও সমস্যা হয়নি। বরং সে হাসিমুখেই সেখানে ছবি তুলেছে। সময় কাটিয়েছে।