রাত তখন পৌনে ২টো। বুধবারে সকাল হতে তখনও বেশ কিছুক্ষণ বাকি। কিন্তু সেই মধ্যরাতেও কাজ থেমে থাকেনা বিমানবন্দরে। বিমান ওঠানামা তো চলেই, সেই সঙ্গে বিমান পরীক্ষার কাজ চালিয়ে যান টেকনিশিয়ানরা। সেইমত কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্পাইসজেটের কিউ৪০০ এয়ারক্রাফটে কাজ করছিলেন এক টেকনিশিয়ান। তখনই ঘটে যায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
রোহিত ভূষণ পাণ্ডে কাজ করছিলেন স্পাইসজেটের বিমানে। তখনই আচমকা বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার ডোর বন্ধ হতে শুরু করে। সেখান থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেননি রোহিত। তাঁকে পিষেই বন্ধ হয় ল্যান্ডিং গিয়ার ডোর। পিষে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রোহিত। হৈহৈ পড়ে যায় বিমানবন্দরে জুড়ে।
গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ডিজিসিএ। কার গাফিলতি তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে বিমানবন্দরের কর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। সহকর্মীকে এভাবে হারিয়ে শোকার্ত রোহিতের সহকর্মীরা। স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষও এই ঘটনার পর পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। রোহিতের নিজের দিক থেকেই কোনও ভুল হয়েছে কিনা তাও দেখা হচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা