অধিকাংশ অংশই নেই, তাও হেঁটে বেড়াচ্ছে প্রাণহীন পতঙ্গ
অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। দেহের অনেকটা অংশ নেই। নেই শরীরের অনেক অঙ্গ। তাও সে হেঁটে বেড়াচ্ছে। যা মনে পড়াচ্ছে কল্পনার চরিত্রদের।
মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে যে কত চমৎকারই দেখা যায় তা আরও একবার একটি সোশ্যাল মিডিয়ার ছবিতে স্পষ্ট হল। ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের এক আধিকারিক সম্রাট গৌড়ার পোস্ট করা সেই ছবি রীতিমত শিহরণ জাগাচ্ছে।
আধিভৌতিক কাণ্ড বলেও মনে হতে পারে অনেকের। যা দেখে বিশ্বাস করা কঠিন। সিনেমা, গল্পে এমনটা হতে পারে, কিন্তু বাস্তবে আদৌ এমনটা সম্ভব? এ প্রশ্নও মনে জাগতে পারে। তবে এর পিছনেও রয়েছে বিজ্ঞান। রয়েছে একটি পরভুক প্রাণি। যাকে বলা হচ্ছে নিউরোপ্যারাসাইট।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই নিউরোপ্যারাসাইট যে কোনও মৃতের দেহে প্রবেশ করে তাদের মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। তারপর মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজেদের মুঠোয় নিয়ে নেয়। তারাই ওই মৃতের মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে। আর সেখানেই এমন সব চমৎকার ঘটতে থাকে।
এক্ষেত্রে একটি মরা পতঙ্গের নষ্ট হতে বসা দেহের অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেলেও তার মস্তিষ্ক ও পায়ের অংশ তখনও ঠিক ছিল। তারই মস্তিষ্ককে নিজের দখলে নেয় একটি নিউরোপ্যারাসাইট। তারপর তার মস্তিষ্ককে কার্যকর করে হাঁটাতে থাকে ওই মৃত পতঙ্গকে।
যা দেখে হাড় হিম হয়ে যেতে পারে। ফলে যে জোম্বি ধারনাকে গল্পকাহিনি বা সিনেমায় দেখতে পাওয়া যায় তা বাস্তবেও সম্ভব। কারও মস্তিষ্ককে এভাবে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে নিউরোপ্যারাসাইট। যা তারা করে নিজেরা বেঁচে থাকার জন্য। নিজেরা বেঁচে থাকার জন্য মৃতদেহকে কাজে লাগায় তারা।