ধুধু প্রান্তরে রহস্যময় স্তম্ভ কী ভিনগ্রহের, ঘুম উড়ল প্রশাসনের
চারিদিকে যতদূর চোখ যায় মানুষের দেখা নেই। শুকনো প্রান্তর। সেখানে মাটির ওপর একটি লম্বা মসৃণ স্বচ্ছ স্তম্ভের রহস্য রাতের ঘুম কেড়েছে প্রশাসনের।
এ প্রান্তর বড়ই রুক্ষ। কোথাও মানুষের দেখা নেই। দূর দূর পর্যন্ত এক খোলা প্রান্তর নিজের মত পড়ে থাকে বছরের পর বছর। সেখানেই এবার এক স্তম্ভ রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে প্রশাসনের। কোথা থেকে এল এটা! তার কোনও সদুত্তর তাদের কাছে নেই। আকাশচুম্বী লম্বা, মসৃণ, স্বচ্ছ, আয়তক্ষেত্রাকার একটি স্তম্ভ।
জলের মত স্বচ্ছ তার রূপ। যা দাঁড়িয়ে আছে সটান। কিন্তু এ বস্তুটি এল কোথা থেকে? সেটা পরিস্কার নয়। একে সাধারণভাবে বলা হয় মোনোলিথ। যা প্রাকৃতিক ভাবেও তৈরি হয়।
সাধারণত আগ্নেয়গিরির লাভা জমে এমন মোনোলিথ সৃষ্টি হয়। যা সবসময় যে স্বচ্ছ হবে এমন কথা নেই। কিন্তু লাস ভেগাস পুলিশ লাস ভেগাস উপত্যকায় খোঁজ চালানোর সময় নেভাডা মরুভূমির মাঝে এই স্তম্ভটির দেখা পায়।
তারপর থেকেই তা কোথা থেকে এল সেই রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। বিষয়টির কথা সোশ্যাল মিডিয়াতেও জানিয়েছে লাস ভেগাস পুলিশ।
এর আগেও এমন মোনোলিথ পাওয়া গিয়েছে। একটি ক্ষেত্রে এর আগে এক শিল্পী দাবি করেছিলেন তিনি সেটা বসিয়ে এসেছেন। এক্ষেত্রে নেভাডা মরুভূমিতে পাওয়া মোনোলিথ নিয়ে এমন দাবিও কেউ করেননি।
আচমকা এমন এক অতিকায় বস্তুকে বসিয়ে দিয়ে যাওয়ার সঙ্গে অনেক সময় ভিনগ্রহীদের হাত দেখার অভ্যাসও আছে মানুষের। তবে নেভাডার মোনোলিথটি এখন বড় রহস্যের আর এক নাম।