দাঁত বেচে ইউক্রেনের শরণার্থী পরিবারগুলিকে খাওয়াতে চান এক মৎস্যজীবী
পেশায় তিনি একজন মৎস্যজীবী। ইউক্রেন থেকে রাতারাতি জীবন নিয়ে পালিয়ে আসা শরণার্থী পরিবারগুলির জন্য তাঁর প্রাণ কাঁদে। আর ঠিক সেই সময়ই তাঁর হাতে এল দাঁতটা।
মাছ ধরতে মাছ ধরার ভেসেল নিয়ে ভেসে পড়েন অকুল সমুদ্রে। জাল ফেলে সমুদ্রতল থেকে তুলে আনেন নানা মাছ। একজন মৎস্যজীবী হিসাবে তাঁর অভিজ্ঞতা কম নয়। সেই অভিজ্ঞ চোখ জিনসটার গুরুত্ব বুঝতে সময় নেয়নি।
তাঁর জালে মাছ ছাড়াও সেদিন উঠে আসে একটি অন্য কিছু। এমন তো হয়েই থাকে। জালে কত কিছুই তো ওঠে। কিন্তু তাঁর বুঝতে অসুবিধা হয়নি এবার যেটি জালে উঠেছে সেটি ফেলে দেওয়ার বস্তু নয়। তার গুরুত্ব অপরিসীম।
নিউ হ্যাম্পশায়ারের কাছে নিউবারিপোর্টের সমুদ্রের তলা থেকে যেটি উঠে আসে সেটি একটি অদ্ভুত দর্শন জিনিস। টিম রাইডার নামে ওই মৎস্যজীবীই ছিলেন ফিশিং বোটটার ক্যাপ্টেন।
তিনি বস্তুটি তুলে দেখেন সেটির গা লোমশ। তবে সেগুলি শক্ত হয়ে গেছে। জলের তলায় হাজার হাজার বছর ধরে থেকে এমনটা হয়েছে। জিনিসটি বেশ বড়। ১১ ইঞ্চি লম্বা।
রাইডার সেটি সাবধানে রেখে দেন। তারপর সমুদ্রতটে ফিরে সেটি নিয়ে হাজির হন নিউ হ্যাম্পশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের কাছে।
তাঁরা পরীক্ষা করে দেখেন ওটি আসলে একটি দাঁত। লোমশ দাঁতটির বয়স কম করে ১২ হাজার বছর। সমুদ্রের তলায় থাকতে থাকতে সেটির চেহারা এমন বদলে গিয়েছে। তবে সেটি যে একটি দাঁত তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি।
রাইডার জানিয়েছেন এই ৭ পাউন্ড ওজনের অমূল্য সম্পদটি তিনি অনলাইন সংস্থা ইবে-তে বিক্রি করতে চান। তারপর সেটি থেকে যে অর্থ তিনি পাবেন তা তিনি তুলে দেবেন ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনে। যাতে ইউক্রেনের শরণার্থী পরিবারগুলির মুখে গরম খাবার তুলে দেওয়া যায়।