করোনার সময়টা সমুদ্রেই কাটাল কাচের বোতল, ভিতরে মিলল চিরকুট
করোনার সময়টা কার্যত জলেই কেটে গেছে তার। সমুদ্রের জলে ভেসেই পেটে বিশেষ চিরকুটে লেখা বার্তা নিয়ে অবশেষে ভিন দেশে পৌঁছল ঢেউয়ের তালে।
ঝলমলে দিনে অনেকেই সমুদ্রের ধারে বেড়াতে যান। তেমনই এক বৃদ্ধ স্ত্রী ও নাতনিকে নিয়ে হাজির হয়েছিল সূর্যের সোনালি রোদ গায়ে মেখে সমুদ্রের ধারে একটা সুন্দর সময় কাটানোর জন্য। বালির ওপর দিয়ে হাঁটার সময় তাঁদের একটি জিনিসের দিকে নজর যায়। সমুদ্রের ঢেউ যেখানে বালি রাশির ওপর শেষ চুম্বনটা এঁকে ফের ফিরে যাচ্ছে নিজের অনন্ত জলরাশির সঙ্গে মিশে যেতে, ঠিক সেখানেই একটি কাচের বোতল আটকে রয়েছে ভেজা বালিতে।
যা দেখে তাঁরা থমকে যান। বোতলটি তুলে দেখেন তার মাথাটি খুবই শক্ত করে আটকানো। আর বোতলের মধ্যে স্পষ্ট নজর কাড়ছে একটি চিরকুট।
কি আছে ওই চিরকুটে? কৌতূহল বুকে করেই নাতনিকে নিয়ে দাদু দিদা ফিরে আসেন বাড়িতে। তারপর খুলে ফেলেন ওই বোতলের মুখ। ভিতর থেকে বার করেন চিরকুট।
চিরকুটে লেখা দেখে তাঁরা বুঝতে পারেন এ বোতল ২০১৯ সালে জলে ভেসেছিল আয়ারল্যান্ড থেকে। আর তাঁরা তা পেলেন এই ২০২৩ সালে নিউ জার্সির সমুদ্রতটে।
শুধু ২টি দেশ নয়, ২টি মহাদেশের ফারাকও তৈরি করে দিয়েছে এই ভাসমান বোতল। যেটি আয়ারল্যান্ডের একজন লিখে বোতলে বন্দি করে ছুঁড়ে দেন অনন্ত সমুদ্রের জলে। কোথায় গিয়ে সেটি পৌঁছয় হয়তো সেটাই ছিল তাঁর দেখার।
৪ বছর জলেই ভাসতে থাকে বোতলটি। সেইসঙ্গে ঢেউয়ের তালে ভেসে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছে যায় নিউ জার্সিতে। এখন কে সেই প্রেরক সেটা জানতে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিচ্ছেন প্রাপকরা।