মায়ের পুরনো বাক্স থেকে আবিষ্কার হল জিনিসটি, হাতে পেয়ে অবাক ৮১ বছরের বৃদ্ধা
এ জিনিস দেখে একটাই কথা মনে পড়ে, ৯৯ নট আউট। যা কার্যত এমন এক বস্তু যা ৮১ বছরের বৃদ্ধাকেও অবাক করেছে। যা তিনি পেয়েছেন তাঁর মায়ের বাক্স হাতড়ে।

তাঁর নিজের বয়সই ৮১ বছর। তবে বয়সের ভারে তিনি কর্মক্ষমতা হারাননি। বরং এখনও তিনি অনেক কাজই নিজে করেন। যেমন তাঁর সেদিন মনে হয়েছিল তাঁর মায়ের একটি বহু পুরনো পড়ে থাকা বাক্স খুলে পরিস্কার করবেন। দেখবেন তার মধ্যে কি রয়েছে।
সেইমত তাঁর মায়ের বাক্সটি পরিস্কার করতে শুরু করেন বৃদ্ধা। আর তা করতে গিয়েই তিনি যেটা হাতে পেলেন তা দেখে প্রথমে অবাক হয়ে যান তিনি। ভাল করে পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন জিনিসটি তাঁর ঠাকুরদা জীবনাবসানের ১ বছর আগে নিয়ে এসেছিলেন।
যদিও তা ফেরত যোগ্য ছিল। তবে তিনি আর তা ফেরত দিতে পারেননি। তাঁর জীবনাবসানের পর তাঁর মাও সেটি ফেরত দেওয়ার কথা না ভেবে সেটিকে বাক্সে পুরে রেখে দেন।
জিনিসটি একটি বই। যা ১৯২৬ সালে বৃদ্ধার ঠাকুরদা একটি সদ্য তৈরি হওয়া গ্রন্থাগার থেকে এনেছিলেন। সেই গ্রন্থাগারটি এখন তার শতবর্ষ পালন করছে। আর ঠিক সেই সময় তাদের হাতে ওই বৃদ্ধা ৯৯ বছর আগে তোলা বইটি ফেরত দিলেন।
এখন প্রশ্ন হল গ্রন্থাগার থেকে বই তুলে তা সময়মত ফেরত না দিয়ে বইটি অতিরিক্ত সময় রাখার জন্য অতিরিক্ত অর্থ গুনতে হয়। নিউ জার্সির বার্কলে টাউনশিপের বাসিন্দা ৮১ বছরের বৃদ্ধা মেরি কুপার ওশান কাউন্টি লাইব্রেরি থেকে থেকে আনা বইটি লাইব্রেরিতে ফেরত দিয়েছেন।
৯৯ বছর পর ফেরত আসা বইটি এই অতিরিক্ত সময় রাখার জন্য যে অর্থ গ্রন্থাগারটির প্রাপ্য হয়েছে তা ভারতীয় মুদ্রায় ১৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। যা জরিমানা বাবদ মেরি কুপারের দেওয়ার কথা।
তবে গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষ তাদের শতবর্ষ পালনের মুহুর্তে সেই অর্থ হিসাব করলেও আদায় করেনি। বরং তারা বইটি ফেরত পেয়েই খুশি। বইটির নাম ‘হোম মেড টয়েজ ফর গার্লস অ্যান্ড বয়েজ’। বইটি ৯৯ বছর পরও সুন্দর অবস্থায় গ্রন্থাগারে ফেরত গেল।