গণতন্ত্র এবার বিমানেও, এক মহিলাকে সামনে রেখে হল ভোট
এক অবাধ্য মহিলাকে সামনে রেখে এবার বিমানেও দেখা গেল গণতন্ত্রের স্বাভাবিক রূপ। যা বেশ চমকপ্রদও বটে। একটা নতুন দিকও খুলে গেল বিমানে অবাধ্য আচরণে।
বিমানে যাত্রা করাকালীন কখনও দেখা গেছে এক যাত্রী অন্য যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করে দিয়েছেন, কখনও দেখা গেছে হাতাহাতি করেছেন, কখনও দেখা গেছে চিৎকার করে ঝগড়া করেছেন এবং এমন নানা অবাধ্য আচরণ কিছু যাত্রী করে থাকেন বিমানে। যার জন্য বিমান সংস্থা অনেক সময় তখনই পদক্ষেপ করে।
কখনও বিমান অবতরণের পর যাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু এতে বাকি যাত্রীরা জড়িয়ে পড়েন না। এবার কিন্তু তাই হল। আর যা হল তাতে বিমান সংস্থাকে কিছু করতে হল না। বরং যাত্রীরাই যা করার করলেন।
আর সেখানে প্রয়োগ হল গণতন্ত্রের। যা নিয়ে আর কোনও প্রশ্ন থাকতে পারেনা। এতে বিমানবন্দর প্রশাসন বা বিমান সংস্থার কাজও অনেক সহজ হয়ে গেল।
ঝামেলাটা শুরু হয় বসার সিট নিয়ে। যা নিয়ে এক মহিলা প্রবল ঝগড়া শুরু করেন। বিমান তখনও আকাশে ওড়েনি। তাঁকে যে সিট দেওয়া হয়েছে তা তাঁর পছন্দ নয়। এই নিয়ে অশান্তির শুরু।
অশান্তি একটা পর্যায়ে পৌঁছনোর পর এক যাত্রী চিৎকার করে বাকি যাত্রীদের জানান ওই অবাধ্য আচরণরত মহিলা তাঁদের সঙ্গে বিমানে থাকবেন, না তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হবে। কি বলছেন যাত্রীরা!
যাত্রীদের হাত তুলে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। যাত্রীরা একে একে হাত তুলতে থাকেন। দেখা যায় অধিকাংশ যাত্রী হাত তুলেছেন।
ফলে ওই মহিলাকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার পক্ষেই বেশি ভোট পড়ে। এরপর আর কিছু বলার ছিলনা ওই মহিলার। গণতান্ত্রিক ভাবে অধিকাংশ যাত্রীর সিদ্ধান্তে তাঁকে নেমে যেতে হয় ব্যাগ নিয়ে। ঘটনাটি ঘটে আমেরিকার নিউ জার্সি থেকে আটলান্টার বিমানে।