আমাদের সকল পাঠক-পাঠিকার জন্য প্রথমেই রইল নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। নতুন সাল ভাল কাটুক। আনন্দে কাটুক। নতুন বছরে আরও বেশি করে নীলকণ্ঠ পড়ুন। আপনাদের উৎসাহ আমাদের আরও ভাল কাজ করার প্রেরণা জোগাবে। নতুন বছরে আজ সকাল থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে মহানগরীর বুকে। গতকাল রাতে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর অনেকেই রাত করে বাড়ি ফিরেছেন বা বাড়িতেই অনেক রাত পর্যন্ত পরিবার নিয়ে খুশিতে মেতেছেন। তাই পয়লার সকালের প্রথম সূর্যকিরণ দেখার সুযোগ অনেকেরই হয়নি। কিন্তু বেলা বাড়লে অনেকেই পরিবার নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন বছরের প্রথম দিনটা আনন্দে খুশিতে ভরিয়ে তুলতে। আর পয়লা জানুয়ারি মানেই কল্পতরু উৎসব। সেই উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই দক্ষিণেশ্বরে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান। এত মানুষের সমাগমকে মাথায় রেখে সুরক্ষা বন্দোবস্তও ছিল জোরদার। ঠান্ডা কম থাকায় শীতের আমেজটা গুছিয়ে উপভোগ না করতে পারলেও গঙ্গার ধার ধরে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে বছরের প্রথম দিনে ছিল একটা অন্যই পরিবেশ। মা ভবতারিণীকে দর্শন করে অনেকেই তাই ভিড় জমিয়েছিলেন গঙ্গার ধারে। এছাড়া কাশীপুর উদ্যানবাটীতেও এদিন অন্যান্য বছরের মতই মানুষের ঢল নামে। লাইন সাপের মত বেঁকে পৌঁছে যায় একেবারে বিটি রোডে। এর বাইরে শহরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল মানুষের উপচে পড়া ভিড়। তিল ধারণের জায়গা ছিলনা পিকনিক স্পটগুলোতেও। রবিবার হওয়ায় ঘোরার উৎসাহে কোনও খামতি ছিলনা। সোমবার থেকে পুরোদমে কর্মদিবস শুরু। তার আগের দিনটা তারিয়ে উপভোগে কোনও খামতি রাখেননি বঙ্গবাসী।