আমাদের সকল পাঠক-পাঠিকার জন্য প্রথমেই রইল নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। নতুন সাল ভাল কাটুক। আনন্দে কাটুক। নতুন বছরে আরও বেশি করে নীলকণ্ঠ.in পড়ুন। আপনাদের উৎসাহ আমাদের আরও ভাল কাজ করার প্রেরণা জোগাবে।
আজ থেকে শুরু হল একটা নতুন বছর। ২০২০ সাল। নতুন বছরকে গত রাতেই স্বাগত জানিয়েছেন সকলে। বুধবার তাই নতুন বছরের প্রথম দিনটা খুশিতে মেতে বছর শুরুর জন্য সকাল থেকে বেরিয়ে পড়েছেন সকলে। বুকভরা অক্সিজেন নিয়ে নয়া উদ্যমে কাজে নেমে পড়ার আগে সকলেই চাইছেন বছরের প্রথম দিনটা জমিয়ে আনন্দ করে কাটাতে।
নতুন বছরে আজ সকাল থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে মহানগরীর বুকে। গতকাল রাতে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর অনেকেই রাত করে বাড়ি ফিরেছেন বা বাড়িতেই অনেক রাত পর্যন্ত পরিবার নিয়ে খুশিতে মেতেছেন। রাতভর পার্টিও করেছেন অনেকে। তাই পয়লার সকালের প্রথম সূর্যকিরণ দেখার সুযোগ অনেকেরই হয়নি। কিন্তু বেলা বাড়লে মানুষ পরিবার, বন্ধু নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন বছরের প্রথম দিনটা আনন্দে খুশিতে ভরিয়ে তুলতে। ফলে শহরের আনাচে কানাচে ভিড়। বিনোদন স্থানগুলিতে উপচে পড়ছে মানুষ।
পয়লা জানুয়ারি মানেই আবার কল্পতরু উৎসব। সেই উপলক্ষে এদিন সকাল থেকেই দক্ষিণেশ্বরে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান। এত মানুষের সমাগমকে মাথায় রেখে সুরক্ষা বন্দোবস্তও ছিল জোরদার। ঠান্ডা কম থাকায় শীতের ভরপুর কনকনে আমেজটা ছিলনা। তবে গঙ্গার ধার ধরে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে বছরের প্রথম দিনে ছিল একটা অন্যই পরিবেশ। বছরের প্রথম দিনে মা ভবতারিণীকে দর্শন করে অনেকেই তাই ভিড় জমিয়েছিলেন গঙ্গার ধারে। এছাড়া কাশীপুর উদ্যানবাটীতেও এদিন অন্যান্য বছরের মতই মানুষের ঢল নামে। লাইন সাপের মত বেঁকে পৌঁছে যায় একেবারে বিটি রোডে।
তিল ধারণের জায়গা ছিলনা পিকনিক স্পটগুলোতেও। শহর ছাড়িয়ে এখন অনেক জায়গায় পিকনিক স্পট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। ভাড়া দেওয়া হয় স্পট। সেসব জায়গায় এদিন ছিল ভিড়ে ভিড়। এছাড়া অনেকের বাড়ি রয়েছে শহর থেকে দূরে। সেসব বাগানবাড়িতে পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে হয়েছে চুটিয়ে পিকনিক। সপ্তাহের মাঝখান হলেও আনন্দ উৎসাহে কোনও খামতি ছিলনা। এদিন খাতায় কলমে পুরোদমে কর্ম দিবস। স্কুল, কলেজ অবশ্য ছুটি। তার মধ্যেও বছরের প্রথম দিনটা তারিয়ে উপভোগে এতটুকু ফাঁক রাখলেন না বঙ্গবাসী।