প্রতি বছরই ভারতে যখন নিউ ইয়ার পালিত হয় অর্থাৎ| ঘড়ির কাঁটায় রাত ১২টা বাজে তখন পৃথিবীর একটা অংশ নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে পুরনো হয়ে যায়। তাঁদের তখন নতুন বছরের ভোরও দেখা হয়ে যায়। নতুন বছরকে স্বাগত জানানো শুরু হয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ সামোয়া, টোঙ্গা ও ক্রিসমাস দ্বীপে। যদিও সেখানকার সেলিব্রেশন বড় একটা টিভির পর্দায় দেখা যায়না। ভারতে যখন ৩১ ডিসেম্বর শেষ বিকেল তখন নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে শুরু হয় নতুন ইংরাজি বছরকে স্বাগত জানানো। অকল্যান্ডের সেই টাওয়ার জুড়ে আতসবাজির রোশনাই চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। মোটামুটি সারা বিশ্বের কাছে এই অকল্যান্ডের সেলিব্রেশন আইকনিক হয়ে গেছে।
অকল্যান্ডের পর অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবার। সেখানেও আলোর রোশনাই টলটলে জলে খেলা করে যায়। চলতে থাকে নানা রঙিন আতসবাজির খেলা। যা দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান। আর টিভির পর্দায় চোখ রাখেন বিশ্ববাসী। তারপর এক এক করে দেশে নতুন বছর হতে থাকে। সে দেশের স্ট্যান্ডার্ড টাইম ধরে রাত ১২টা বাজে। পালিত হয় হ্যাপি নিউ ইয়ার। এভাবেই এক সময়ে ভারতেও রাত ১২টা বাজে। দেশবাসী মেতে ওঠেন নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর উল্লাসে। শেষ যেখানে নতুন বছরের সেলিব্রেশন হয় তা ওই প্রশান্ত মহাসাগরের ওপর মার্কিন দ্বীপ বেকার আইল্যান্ডে। আন্তর্জাতিক সময়রেখার মজায় নতুন বছরের সেলিব্রেশন শুরু ও শেষের দ্বীপগুলি একে অপরের থেকে বেশি দূরে নয়। কার্যতই সামান্য দূরত্ব মাত্র।