ভারতে তখন বিকেল। সবে শুরু হয়েছে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পার্টির আয়োজন। চলছে সাজগোজ। ঠিক সেই সময়েই পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে আতসবাজির রোশনাইতে বরণ করা হল নতুন বছরকে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ সামোয়া, টোঙ্গা ও ক্রিসমাস দ্বীপে শুরু হয় নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পালা। এরপর নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড। অকল্যান্ড স্কোয়ারের চোখ ধাঁধানো আতসবাজির বর্ষবরণ টিভির পর্দায় দেখে উল্লসিত ভারতীয়রাও। নতুন বছরে পা মানেই একবিংশ শতাব্দী টিনএজ কোঠার শেষ বছরে পা রাখল। বয়স হল ১৯। অকল্যান্ডের পর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। তারপরই টিভির পর্দায় ফুটে উঠল অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবার ব্রিজের ছবি। সেই চিরাচরিত আতসবাজির খেলা। অন্ধকারের বুক চিরে আলোয় ভেসে এল নতুন বছর। এরপর এক এক করে চিন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া হয়ে এগোতে থাকে বর্ষবরণের উল্লাস। আর ভারতীয় ঘড়ি টিকটিক শব্দে আনন্দের আবেশে মিশে এগোতে থাকে রাত ১২টার দিকে।
রাত যতই গড়িয়েছে শহরের বিভিন্ন নাইট ক্লাব থেকে হোটেল, পাব থেকে পাড়া, সর্বত্রই গানের সুর উদ্দাম হয়েছে। উল্লাস বাঁধন ভেঙেছে। মাদকতায় মাতাল হয়েছে শীতের রাতপরী। এই আনন্দের ভেলায় চেপে একসময়ে এল সেই চরম মুহুর্ত। টিক টিক করে সেকেন্ড এগিয়েছে আর হৃৎস্পন্দন দ্রুত হয়েছে রাতজাগা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছুঁতেই নতুন বছরের শুভেচ্ছা, হ্যাপি নিউ ইয়ারের কোরাস আর নতুন বছরের উচ্ছ্বাসে উদ্বেল হয়েছে শহর। ফোনের ঘণ্টা বেজেছে মুহুর্মুহু। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ট্যুইটার থেকে এসএমএস বা ফোনে আছড়ে পড়েছে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের ঢেউ। রাতের পার্টি আরও উদ্দামতা বাড়িয়েছে। সবমিলিয়ে দারুণ আনন্দ উচ্ছ্বাসে প্রতি বছরের মতই এবারও কলকাতা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে নিজের মত করে। নীলকণ্ঠ পরিবারের তরফ থেকেও সকলের জন্য রইল নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সকলকে হ্যাপি নিউ ইয়ার!