হতে পারে সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস। হতে পারে অধিকাংশ জায়গায় অফিস খোলা। হতে পারে দোকানপাট স্বাভাবিক নিয়মেই খোলা। তবু তার মধ্যেই সময় বার করে বছরের প্রথম দিনটা আনন্দে ভরিয়ে তুলতে শীতের সকালেই গায়ে গরমজামা মুড়ে বেরিয়ে পড়েছেন অনেকে। কেউ পৌঁছেছেন চিরাচরিত চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, নিক্কো পার্ক, ময়দানে। কেউ আবার হালফিল পর্যটনক্ষেত্র হয়ে ওঠা ইকো পার্ক, মিলেনিয়াম পার্কে। কেউ আবার বিভিন্ন মাল্টিপ্লেক্সে তৈরি করে নিয়েছেন সারা দিনের প্রোগ্রাম। কেউ পরিবার নিয়ে বার হয়েছেন। তো কেউ বন্ধুদের সঙ্গে। কেউ আবার বেরিয়ে পড়েছেন শীতের রোদ গায়ে মেখে বছরের প্রথম দিনটা মনের মানুষের সঙ্গে একান্তে কাটাতে।
এদিন চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া, ইকো পার্ক, নিক্কো পার্ক, মিলেনিয়াম পার্ক, যাদুঘর সর্বত্রই ভিড়ে ভিড়। থিকথিক করছে মানুষ। প্রবল ভিড়েও কারও মুখ থেকে আনন্দ, হাসি উধাও হতে দেখা যায়নি। সবচেয়ে বেশি খুশি কচিকাঁচারা। শীতের দিনে দিনভর এদিন শুধুই মজা। নো পড়া। নো লেখা। নো বকাঝকা। এটা ভেবেই যেন আনন্দ তাদের আর ধরছে না।
এদিন অনেকে আবার বেরিয়ে পড়েছেন দল বেঁধে শহর ছেড়ে একটু দূরে। বনভোজনে। কেউ বেছে নিয়েছেন কোনও পিকনিক স্পট। কেউ আবার একটু নিরিবিলি চেয়ে পৌঁছে গেছেন গাছের ছায়া ঘেরা কোনও অচেনা নদীর পাড়ে। ইট সাজিয়ে তৈরি হয়েছে উনুন। বসেছে রান্নার হাঁড়ি। কেউ খেলেছেন ব্যাডমিন্টন, কেউ ক্রিকেট, কেউ অন্তক্ষরী, কেউ তাস, কেউ ঘুরেছেন আশপাশ। প্রাণভরে উপভোগ করেছেন অফিস আর বাড়ির বাইরে প্রকৃতির সৌন্দর্য আর বুকভরা অক্সিজেন। মহিলারা মেতেছেন নিজেদের মধ্যে আনন্দে। যিনি বছরের অন্য কোনও দিন রোদ চশমা পরেননা, তিনিও এদিন নাকে চড়িয়েছেন সুদৃশ্য রোদ চশমা। এদিন আর হেঁশেল, ছেলেমেয়ের পড়া বা সংসার নয়। একটু বাইরে। খোলা আকাশের নিচে। একটু অন্য কোথাও। উপলক্ষ তো একটা আছেই। হ্যাপি নিউ ইয়ার!