নতুন হাওয়া, অটুট বন্ধনের চিহ্ন বইছে অটুট ‘রিং পিয়ার্সিং’
গতানুগতিক পথে চলতে আজকাল মন চায়না অনেকেরই। নতুনের সন্ধান অভিযানের পথে তাই দিনে দিনে উদ্ভব হচ্ছে চমকে দেওয়ার মত ট্রিক।
বিয়ের একটি অঙ্গাঙ্গী রীতি হল আংটিবদল। বাঁ হাতের অনামিকায় শোভা পায় সেই ‘এনগেজমেন্ট রিং’। যা প্রমাণ দেয়, ২টি পৃথক মন, আত্মা, শরীর বাঁধা পড়েছে একে অপরের সঙ্গে।
হবু দম্পতিদের মধ্যে বিয়ের প্রাকপর্বে অঙ্গুরি বিনিময়ের এই প্রথা সুপ্রাচীন। তবে সময় বদলেছে। বদলেছে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের রুচি।
মানুষ এখন ফ্যাশন সচেতন। গতানুগতিক পথে চলতে আজকাল মন চায়না অনেকেরই। নতুনের সন্ধান অভিযানের পথে তাই দিনে দিনে উদ্ভব হচ্ছে চমকে দেওয়ার মত ‘ট্রিক’। সেই ট্রিকে নতুন সংযোজন ‘রিং পিয়ার্সিং’। আধুনিক বর বা কনেরা এখন মজেছেন আংটি বদলের এই অভিনব কায়দায়।
নাক বা কান ফুটো করে তাতে অলংকার পরার সঙ্গে একেবারেই মিল নেই ‘রিং পিয়ার্সিং’-এর। কারণ, পিয়ার্সিং বা ছেদ আসলে করা হয় হাতের আঙুলে।
অনামিকার ত্বক ও হাড়ের চামড়া ভেদ করে তাতে বসানো হয় জ্বলজ্বলে এক পাথর বিশিষ্ট হিরের আংটি। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই আশীর্বাদী আংটি বসে যাচ্ছে আঙুল ফুটো করে।
কষ্ট করে অলংকার পরার ব্যথা থাকবে মাত্র ২ মাস। তারপরেই আঙুল যত খুশি নাড়াও, কোনওমতেই আংটি আঙুল ছাড়া হবে না আর। এমনকি আঙুল থেকে আংটি খুলে পড়ে যাওয়ার ভয়ও থাকল না।
১০০ ডলার দিয়ে এমন অভিনব আংটি পড়তে হবু দম্পতিরা তাই বিয়ের আগে ভিড় জমাচ্ছেন পার্লারে। দাঁতে দাঁত চেপে আঙুল ফুটিয়ে প্রিয় মানুষের দেওয়া আংটি পরে আসছেন অনেকেই। সংখ্যায় যা কখনও একটা, আবার কখনও একাধিক।
যদিও এমন যন্ত্রণাদায়ক উপায়ে এনগেজমেন্ট রিং পরা নিয়ে ঘোর আপত্তি তুলেছেন ত্বক বিশেষজ্ঞরা। ফ্যাশন নিয়ে এইধরনের পরীক্ষানিরীক্ষাকে সমর্থন করছেন না পিয়ার্সিং বিশেষজ্ঞরাও।
আঙুলের ত্বকীয় স্তরের ভিতরে থাকে স্নায়ু এবং ধমনী। যদি কোনওভাবে আঙুল ফোটানোর সময় তাতে আঘাত লাগে, তাহলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে ত্বক। আংটি নিয়ে গবেষণা করতে যাওয়া দম্পতিদের সতর্ক করে দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
তবে ফ্যাশন বলে কথা। একটু ঝুঁকির বদলে তাই অনেকেই এই নতুন ফ্যাশনকে আপন করে নিচ্ছেন। নয়া জামানার নতুন ধারার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছেন নিজেদের। যদিও রিং পিয়ার্সিং নিয়ে একেবারেই উচ্ছ্বসিত হতে পারছেন না চিকিৎসকেরা।