হলিউডের রোমহর্ষক সিনেমা ‘ফাইনাল ডেসটিনেশন ১’-এর কথা মনে পড়ে? ছবিতে বিমান দুর্ঘটনায় যাত্রীদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর দৃশ্য দর্শকদের মনে রীতিমত ভয় ঢুকিয়ে দিয়েছিল। সেই ভয়াবহ মৃত্যু বাস্তবে চাক্ষুষ করলেন সুরক্ষার দিক থেকে বিশ্বের সর্বাধিক বিশ্বাসযোগ্য বলে পরিচিত বোয়িং ৭৩৭-৭০০ এয়ারক্রাফটের যাত্রীরা। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কের লা গার্ডিয়া বিমানবন্দর থেকে রওনা দেয় সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের জেট বিমানটি। গন্তব্য ছিল টেক্সাসের ডালাস। বিমানে ছিলেন ১৪৩ জন যাত্রী এবং ৫ জন বিমানকর্মী। উড়ানের ২০ মিনিট পর আচমকাই থরথর করে কাঁপতে থাকে বিমানটি। যাত্রীরা লক্ষ্য করেন, বিমানের একটা জানালার কাচ ফেটে গিয়েছে। অক্সিজেন মাস্কও ঠিকমত কাজ করছে না। প্রাণভয়ে হৈহৈ পরে যায় বিমানযাত্রীদের মধ্যে।
এর মাঝেই যাত্রীদের হতভম্ব করে দিয়ে বিমানের বাঁদিকের ইঞ্জিনে একটি বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের জেরে একটা বড় গর্ত তৈরি হয়। সেই বড় গর্তের ভিতর ছিটকে ঢুকে যান এক মহিলা যাত্রী। তাঁকে আর প্রাণে বাঁচানো যায়নি। কোনওরকমে গর্ত থেকে নিউ মেক্সিকোর বাসিন্দা ওই মহিলার নিথর দেহটা টেনে বার করেন বাকি যাত্রীরা। বিপদের আঁচ পেয়ে দ্রুত বিমানের মুখ ঘুরিয়ে নেন পাইলট। স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ বিমানটি জরুরি অবতরণ করে ফিলাডেলফিয়া বিমানবন্দরে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।