একটা ফোন আসে পুলিশের কাছে। ফোনের ওপার থেকে জানানো হয় নিউ ইয়র্কের হাডসন শহরের একটি পার্কের ধারে একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। তারমধ্যে এক মহিলা স্থির হয়ে বসে আছেন। সম্ভবত প্রচণ্ড ঠান্ডায় জমে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ যেন দ্রুত পদক্ষেপ করে। ফোন পেয়ে আর সময় নষ্ট করেনি নিউ ইয়র্ক পুলিশ। হতেই পারে। মাইনাস ১৩ ডিগ্রিতে জমে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁরা দেখেন সত্যিই একটি গাড়ির মধ্যে এক বয়স্কা মহিলা নাকে অক্সিজেন মাস্ক পরে স্থির হয়ে বসে আছেন। দ্রুত গাড়ি খুলে তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু উদ্ধারের পরই চোখ কপালে ওঠে তাঁদের।
এতো মানুষ নয়। এতো একটা ম্যানিকুইন। অর্থাৎ নকল মানুষের অবয়ব, যা সাধারণত জামাকাপড়ের দোকানে পোশাক সাজাতে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু ম্যানিকুইনটি এতটাই জীবন্ত যে দেখে বোঝার উপায় নেই সেটি সত্যিকারে কোনও মানুষ নয়। এমনকি তার সিটবেল্টটিও পরিপাটি করে বাঁধা ছিল। এরপরই ক্ষুব্ধ পুলিশ ওই গাড়ি ও ম্যানিকুইনের মালিককে ডেকে পাঠায়। যদিও ম্যানিকুইনের মালিক উল্টে পুলিশের ওপরই চোটপাট করেন। তাঁর দাবি, তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞান পড়ানোর কাজে এটি ব্যবহার করেন।
সেটি ওই গাড়িতে এল কি করে? পরে নিউ ইয়র্ক পুলিশের প্রধান শহরবাসীকে দেওয়া একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানান, এরপর থেকে যদি কোনও শহরবাসী এই প্রচণ্ড ঠান্ডায় ম্যানিকুইন গাড়িতে বসিয়ে গাড়ি লক করে চলে যান তবে পুলিশ গিয়ে তাঁর বাড়ির জানালা ভেঙে দিয়ে আসবে!