World

কপাল জোড়ে রক্ষা পেল অতি বিরল চিংড়ি, পাতে না গিয়ে গেল জলে

চিংড়ি খেতে ভাল লাগে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। বাজারে আসা জিভে জল আনা এমনই চিংড়ি কিন্তু বিক্রি হল না। ফিরে গেল জলে।

চিংড়ি বললেই অনেকের জিভে জল এসে পড়ে। অতি সুস্বাদু চিংড়ি পাতে পড়লে মন ভাল হয়ে যায় তাঁদের। ফলে চিংড়ির চাহিদাও যথেষ্ট। শুধু বাংলার রসনা তৃপ্তিই নয়, চিংড়ি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের পছন্দের খাবার। চিংড়ির মধ্যে আবার গলদা চিংড়ির আলাদাই কদর।

বড়সড় চেহারার অনেক গলদা চিংড়ি এসেছিল দোকানে। বিক্রির জন্য আসা সেসব গলদা চিংড়ির মধ্যে আর সবকটি একরকম থাকলেও একটির গায়ের রং বাকিদের চেয়ে ছিল আলাদা।


দোকানের কর্মচারিরা চিংড়ির বিশাল স্টকের মধ্যে একটি কমলা চিংড়ির খোঁজ পান। খতিয়ান বলছে প্রতি ৩ কোটি গলদা চিংড়ির মধ্যে ১টির রং কমলা হয়। তাই এই ১টি কমলা চিংড়ি যে অতি বিরলের দলে পড়ে তা বুঝতে তাঁদের দেরি হয়নি।

এরপর সেটিকে আর খাবার জন্য বিক্রি না করে তাঁরা একটি অ্যাকোয়ারিয়ামে যোগাযোগ করেন। তারা নিতে অস্বীকার করে। তবে খবর পেয়ে একটি প্রাণি সুরক্ষা সংগঠন চিংড়িটিকে উদ্ধার করে দোকান থেকে।


তারপর সেটিকে এনে ফের লং আইল্যান্ডের জলভাগে ছেড়ে দেয়। সে চিংড়িও জলে নেমে মুক্তির স্বাদ পেয়ে গভীর জলের দিকে আনন্দের সঙ্গে এগিয়ে যায়।

চিংড়ির উদর পূর্তির জায়গায় মুক্তির স্ফূর্তির ঘটনাটি ঘটেছে নিউ ইয়র্ক শহরের উপকূলবর্তী একটি দ্বীপ লং আইল্যান্ডে। কমলা চিংড়িটিকে জলে ছাড়ার আগে তার আটকে রাখা দাড়াও খুলে দেন প্রাণি সুরক্ষা সংগঠনের সদস্যেরা।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button