৪ বছরের শিশুর জন্য প্রাণ রক্ষা হল মাছ বাজারে আসা অতি বিরল চিংড়ির
এ চিংড়ি কেউ এক জীবনেও দেখতে পান কিনা সন্দেহ। তেমনই এক চিংড়ি বিক্রির জন্য হেলায় রাখা ছিল মাছ বাজারে। নজর কাড়ল এক শিশু।
এক ৪ বছরের শিশুর জন্য উদ্ধার হল অতি বিরল চিংড়ি। নাহলে তা কবেই কেটে কুটে রান্না হয়ে যেতে পারত। শিশুটির মা তাঁর ২ সন্তানকে নিয়ে বাজারে এসেছিলেন। একজনের বয়স ৪, অন্য জনের ৩।
বাজারে আসার পর চিংড়ি দেখবে বলে জিদ ধরে ২ শিশু। মা আর কি করেন। ছেলেদের নিয়ে হাজির হন মাছ বাজারে যেখানে চিংড়ি বিক্রি হচ্ছিল সেখানে। সেখানে চিংড়ি দেখতে দেখতে ৪ বছরের পার্কারের নজর কাড়ে একটি চিংড়ি।
সে মাকে জানায় ওই চিংড়িটা নীল রংয়ের। শিশুর সরল পর্যবেক্ষণের কথা মায়ের কানে যেতে তিনি ভাল করে চিংড়িটি নজর করেন। বড় চেহারার গলদা চিংড়িটির রং সত্যিই গাঢ় নীল।
তিনি বুঝতে পারেন এ চিংড়ি অতি বিরল প্রজাতির। দ্রুত তিনি সেখান থেকেই একটি অ্যাকোয়ারিয়ামে খবর পাঠান। সেই সঙ্গে ওই মাছ বিক্রেতাকে জানান তিনি যেন ওই চিংড়িটি বিক্রি না করেন।
এদিকে খবর পেয়ে দ্রুত নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত ভায়া অ্যাকোয়ারিয়ামের সদস্যরা বাজারে পৌঁছে যান। উদ্ধার করেন সেই নীল চিংড়িকে। এদিকে ওই বিরল চিংড়ির নামকরণও করেছে ওই ২ শিশু।
তারা ওই চিংড়ির নাম দিয়েছে ব্যান্ডিট। আপাতত নিউ ইয়র্কের বাজার থেকে প্রাণ রক্ষা হয়ে সেই অতি বিরল চিংড়ি বহাল তবিয়তে আছে ভায়া অ্যাকোয়ারিয়ামে। কমলা রংয়ের চিংড়ির মতই নীল চিংড়ি দেখতে পাওয়াও একটা বড় প্রাপ্তি।