চারদিকে ক্যামেরার ফ্ল্যাশের ঝলকানি। বিশ্বের তাবড় তাবড় ফ্যাশন বোদ্ধাদের শ্যেনদৃষ্টির সামনে অটুট আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে ব়্যাম্পে হেঁটে যাওয়া। কাজটা মোটেই খুব একটা সহজ নয়। বাঘা বাঘা মডেলদেরও বুক দুরুদুরু করে ওঠে ক্যাটওয়াকের সময়। অথচ জীবনে প্রথমবারের জন্য ব়্যাম্পের অগ্নিপথে হাঁটতে বিন্দুমাত্র ভয় পায়নি জোলা। নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন শোয়ের মঞ্চে প্রথম আবির্ভাবেই ‘জলবা’ দেখিয়েছে সে। তার নিষ্পাপ চোখের চাহনিতে মুগ্ধ ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা। মাত্র ৫ মাস বয়সেই ব়্যাম্পে রীতিমত আগুন ধরিয়ে দিয়েছে খুদে মডেল। ফ্যাশন ব়্যাম্পের জমকালো আয়োজন বিন্দুমাত্র টলাতে পারেনি তার আত্মবিশ্বাস। আর এমন অটুট আত্মবিশ্বাস তার আসবে নাই বা কেন? দুধের শিশুকে সাহস জোগাতে বটগাছের ছায়া হয়ে সঙ্গে যে ছিলেন তার বাবা। পেশায় যিনি নিজেও একজন মডেল।
নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইকের আলোকোজ্জ্বল মঞ্চ। সেখানেই শীতকালীন ও বসন্তকালীন পোশাকের থিম নিয়ে একটি শোয়ের আয়োজন করা হয়। শোয়ের উদ্যোক্তা বিখ্যাত মার্কিন পোশাক বিপণন সংস্থা কলিনা স্ট্রাডা। সেই শোয়ে অংশগ্রহণ করেন কৃষ্ণাঙ্গ মডেল জর্জ ওকনে। তাঁর স্ত্রী ইয়ানি গাফও পেশায় একজন মডেল। ৫ মাস আগে পুত্রসন্তান জোলার বাবা হন জর্জ। কলিনা স্ট্রাডার শোয়ের ‘থিম’-এর চাহিদা অনুসারে ছেলেকে নিয়ে ব়্যাম্পে হাঁটেন তিনি। কমলা রঙের ভেলভেট পোশাকে বাবা ছেলের যুগলবন্দিতে জমে ওঠে ব়্যাম্পে মেজাজ। জোলা খুদে তো, তাই তাকে খুব বেশি জামাকাপড় পরানো হয়নি। একটা মিষ্টি কমলা রঙের প্যান্টি পরেই অবাক চোখে সে বাবার সাথে ব়্যাম্পে হেঁটেছে। বিশ্বের কনিষ্ঠতম মডেল হিসেবে এখন থেকেই বেশ নামডাক হয়ে গেছে সদ্য মডেল হয়ে ওঠা ছোট্ট জোলার।