কোভিড ভুলে মহাসমারোহে পালিত ক্রিসমাস
করোনা সারা বিশ্বে এখনও তার দাপট অক্ষুণ্ণ রেখেছে। কিন্তু তা কেড়ে নিতে পারল না বহু বছর ধরে পালিত ক্রিসমাস প্যারেডকে। মহাসমারোহে পালিত হল উৎসব।
অকল্যান্ড : রাস্তার ২ ধার জুড়ে রাস্তার ওপরই বসে পড়েছেন মানুষজন। তাঁরা দর্শক। যাঁরা হেঁটে যাচ্ছেন তাঁরা পেশায় কৃষক। এ উৎসব মূলত কৃষকদের ক্রিসমাস পালন।
রাস্তা ধরে এগিয়ে চলা মানুষজন খুশিতে মাতোয়ারা। কেউ নাচছেন। কেই ম্যাজিক দেখাচ্ছেন। কেউ সেজেছেন অদ্ভুত সাজে। সঙ্গে রয়েছে নানা বাহারি ট্যাবলো। দানবের মত চেহারার বেলুন। যা দেখতে কোনওটা পাখির মত। কোনওটা অন্য জন্তুর মত। অনেক মানুষ একই সাজে সেজে বাজাচ্ছেন বাজনা।
এই প্যারেডে শামিল কচিকাঁচারাও। তারাও নানা সাজে রয়েছে ট্যাবলোতে। একটি ট্যাবলোয় রয়েছেন সান্টাবুড়ো। তিনি হাত নাড়ছেন। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ট্যাবলোতে নানা সবজি, ফল।
সব মিলিয়ে এ এক রঙিন আনন্দ। যা রাজপথ ধরে সকলকে আনন্দ দিতে দিতে এবং নিজেরা আনন্দ করতে করতে এগিয়ে চলে সামনের দিকে।
রীতিমত ধুমধাম করে এভাবেই নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে পালিত হল ক্রিসমাস প্যারেড। এখনও বড়দিন আসতে দেরি আছে। তার আগেই প্রথা মেনে নভেম্বরেই পালিত হল এই আনন্দভরা রঙিন প্যারেড।
ছিল বৃষ্টির ভ্রুকুটি। আকাশে মেঘও ছিল যথেষ্ট। আবহাওয়া দফতর ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়ে রেখেছিল। কিন্তু কোনও কিছুই রুখে দিতে পারেনি এই ৮৬ বছর ধরে চলে আসা প্রথাকে। এই আনন্দঘন ক্রিসমাস পালনকে।
প্রতি বছরের মত অবশ্য এই বছরটা নয়। এ বছর করোনা গোটা বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। কোনও উৎসবও পালিত হচ্ছে না কোথাও। যা হচ্ছে তাকে উৎসব বলেনা, নিয়ম রক্ষা বলে। সেই অবস্থায় একদম চিরাচরিতভাবেই পালিত হল অকল্যান্ডের ক্রিসমাস প্যারেড। যা গ্রীষ্মকালের অন্যতম বড় উৎসব হিসাবে পালিত হয়।
এবারও হল। কচিকাঁচাদের নিয়ে সাধারণ মানুষ হাজির হলেন এই রংবাহারি প্যারেড দেখতে। কারও মুখে রইল না মাস্ক। অকল্যান্ডে মাস্ক বাধ্যতামূলক নয়। এখানে কোনও করোনা বিধিও সেই অর্থে নেই। সবই আগের মতই স্বাভাবিক নিউজিল্যান্ডে।
নিউজিল্যান্ডে এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ৫৬ জন সংক্রমিতের খোঁজ মিলেছে। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৯৫৯ জন। দেশে এখন ৭২ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন সংক্রমিত অবস্থায়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা