করোনার জেরে মহাসমুদ্রে কমেছে শব্দ, জানাল গবেষণা
করোনা মানবসভ্যতার জন্য এক অভিশাপ একথা সকলেই মেনে নেবেন। কিন্তু এতে শাপে বর হয়েছে সামুদ্রিক প্রাণিদের। আওয়াজের হাত থেকে বেঁচেছে তারা।
করোনার জেরে মানবসভ্যতা যখন সংকটে, তখন অন্যদিকে করোনার জেরেই বেজায় খুশি সামুদ্রিক প্রাণিরা। মহাসমুদ্রে শব্দের উপদ্রব কমায় তারা অনেকটা শান্তি পেয়েছে।
মহাসমুদ্র শান্ত হয়েছে। এমনই দাবি করল একটি গবেষণা। নিউজিল্যান্ড ও কানাডার বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণা থেকে উঠে এসেছে এই তথ্য।
বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, করোনা বিশ্বের বুকে থাবা বসানোর পর সমুদ্রে শব্দের উপদ্রব কমেছে। প্রথম লকডাউন বিভিন্ন দেশে লাগু হওয়ার পর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গবেষকেরা সমুদ্রে মানুষের প্রভাব সম্বন্ধে গবেষণা শুরু করেন।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, তাঁরা এটা দেখেন যে লকডাউনের জেরে সমুদ্রে জাহাজ চলাচল কমেছে। এখন সমুদ্রে জাহাজ চলে মূলত পণ্য পরিবহণের কাজে।
যেসব সামুদ্রিক রুট ধরে এই পণ্যপরিবহন বেশি হয় সেখানে সামুদ্রিক জীবন এইসব জাহাজের নিরন্তর শব্দে অশান্ত হয়ে থাকে। সমুদ্রের শান্তি বিঘ্নিত হয়।
লকডাউনে দেখা যায় এই পণ্যপরিবহন অনেকটাই কমে যায়। জরুরি পণ্য ছাড়া তখন আর কোনও পণ্যবাহী জাহাজই জলে পাড়ি জমাচ্ছিল না। ফলে জাহাজ জলে ভাসা কমায়। কমে তাদের শব্দ তাণ্ডব। যা আখেরে সামুদ্রিক প্রাণিদের শান্তি দিয়েছে। তাদের ওই অবাঞ্ছিত শব্দের উপদ্রব সহ্য করতে হচ্ছেনা।
এই শব্দ সমুদ্রের তলদেশ পর্যন্ত পৌঁছচ্ছিল বলে জানাচ্ছেন গবেষকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, সামুদ্রিক অনেক প্রাণি নিজেরা শব্দ করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের জন্য। তারা নিজেরাই নিজেদের শব্দ ঠিক করে পাচ্ছিল না। যা তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছিল।
করোনাকালে কিন্তু জাহাজের আনাগোনা কমায় সেই শব্দ তারা শুনতে পাচ্ছে। স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছে ওইসব সামুদ্রিক জীবরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা