দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য নিজেকে একটু একটু করে প্রস্তুত করছে স্যাম। বিশ্বের প্রথম রোবট রাজনীতিবিদ। রাজনীতির ময়দানে দুঁদে মানব-রাজনীতিবিদদের লড়াইকে আরও কঠিন করতে কোমর বেঁধে আসরে নামতে চলেছে সে। আইনি জটিলতা কেটে গেলে নিউজিল্যান্ডবাসীসহ গোটা পৃথিবী ২০২০ সালে দেখতে চলেছে বিশ্বের প্রথম যান্ত্রিক রাজনীতিবিদকে। রাজনীতিতে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার রুখতে স্যাম নামে ওই রোবটটির জন্ম বলে জানিয়েছেন রোবট নির্মাতা নিক গ্যারিৎসন। কিন্তু একটা যন্ত্র কিভাবে মানুষের রাজ-নীতিকে রপ্ত করে তার প্রয়োগ করবে তা নিয়ে আশঙ্কা করছে রাজনৈতিকমহল।
গ্যারিৎসনের দাবি, স্যামের মধ্যে উন্নত প্রযুক্তিগত কৌশলে মানুষের বিভিন্ন প্রবণতাকে প্রবেশ করানো হয়েছে। জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করতে স্যাম যেমন মুক্ত রাজনীতির মঞ্চ ব্যবহার করতে পারবে, আবার সোশ্যাল মিডিয়াকেও অনায়াসে নির্বাচনী প্রচারকার্যের হাতিয়ারও করে তুলতে পারবে সে। তবে যন্ত্র যখন, তখন তো স্যামের বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। সেইসময়ের জন্য বিশেষ বন্দোবস্ত নিয়েছেন স্যামের জন্মদাতা। বিকল হওয়ার মুহুর্তে নিজের খেয়াল রাখতে স্যামের মধ্যে বিশেষ সিস্টেম দিয়েছেন গ্যারিৎসন।
এর আগে বিশ্বের প্রথম রোবট হিসেবে নাগরিকত্ব পেয়ে বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়েছে সোফিয়া। এবারে দেখার পালা স্যাম কতটা দায়িত্বের সঙ্গে তার রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করে নিউজিল্যান্ডবাসীর মন জয় করতে পারে।