মাটি মাখা আলু ধুতেই মিলল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নিদর্শন
মাটিমাখা আলুগুলো এসেছিল একটি খামার থেকে। অনেক আলুর গায়েই মাটি মাখা। সেগুলি ধুয়ে ফেলা হচ্ছিল। তখন একটি ধুতেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের একটি নিদর্শন সামনে এল।
একটি পটেটো চিপস তৈরির কারখানায় আনা হয়েছিল প্রচুর আলু। চিপস তৈরির জন্য ওটাই তো আসল উপাদান। সেসব আলু একদম ক্ষেত থেকে তুলে আনা। ফলে তাতে তখনও মাটি লেপ্টে আছে। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মার্চে ভারতেও নতুন আলুর গায়ে মাটি লেপ্টে থাকে।
সংস্থার কর্মীরা দেখেন আলুর গায়ে মাটি। মাটি ধুয়ে তবেই তো তা মেশিনে দিয়ে চিপস তৈরি করা সম্ভব। সে কাজই করছিলেন একজন। তাঁর একটি মাটি মাখা আলু দেখে সন্দেহ হয়। ডাকেন অন্য এক সহকর্মীকে।
শুরু হয় মাটি ধোয়ার কাজ। আর মাটি ধুতে আলুর জায়গায় যা পাওয়া যায় তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ কর্মীদের। ওটা তো আলু নয়! ওটা একটা গ্রেনেড! যার গায়েই তার সময় লেখা রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের ওই গ্রেনেড আলুর সঙ্গে মিশে এসে পড়েছিল ওই সংস্থায় চিপস তৈরির জন্য।
দ্রুত খবর যায় সংস্থার ম্যানেজারের কাছে। তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে প্রতিরক্ষামন্ত্রকে খবর দেয়। সেখান থেকে বম্ব স্কোয়াড এসে হাজির হয়।
তারা এসে পরীক্ষা করে জানায়, ওটি মিলস বম্ব। যা হ্যান্ড গ্রেনেড হিসাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহার হত। তবে স্কোয়াড এটাও জানায় যে যে গ্রেনেডটি পাওয়া গিয়েছে তা থেকে বিস্ফোরণের কোনও সম্ভাবনা নেই।
কারণ সেটি সম্ভবত প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহার হত। ঘটনাটি ঘটেছে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের কাছে। আলু এসেছিল মাতামাতা নামে জায়গার একটি খামার থেকে।