সকলে রেগে আগুন, চাপের মুখে অন্যদেশে চলে যাচ্ছে শহরের কোয়াসি
এভাবে যে সকলে রেগে যেতে পারেন তা বোধহয় আশা করা যায়নি। তবে প্রবল চাপের মুখে অবশেষে শহর থেকে অন্যদেশে পাড়ি দিল হাত মুখ।
২০১৬ সালে এর জন্ম। কিন্তু আমজনতার নজরে পড়ে ২০১৯ সালে। কারণ ২০১৯ সালেই পাঁচ আঙুল সহ হাত এবং হাতের ওপর থাকা একটি মুখ সকলের নজর কেড়ে নেয়। এক বিশাল স্থাপত্যকীর্তি। বিখ্যাত শিল্পীর অনন্য ভাস্কর্য।
শিল্পী তাঁর নিজের মুখটাই ওই হাতের ওপর ফুটে ওঠা মুখে বসিয়ে দিয়ে শিল্পকীর্তিটি তৈরি করেছিলেন। আর সেখানেই রাগটা তৈরি হয়। সাধারণ মানুষ এটাকে ভাল চোখে নিতে পারেননি।
২০১৬ সালে বিখ্যাত শিল্পী রনি ভান হউত-এর তৈরি ‘কোয়াসি’ নামে এই শিল্পকীর্তিটি প্রথমে রাখা ছিল নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ আর্ট গ্যালারিতে। তারপর সেটিকে ২০১৯ সালে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ওয়েলিংটন সিটি গ্যালারিতে।
একটি হেলিকপ্টারে করে এই শিল্পকীর্তিটি তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ওয়েলিংটনে। সেখানে সিটি গ্যালারির মধ্যে নয়, বরং ছাদে সেটিকে বসানো হয়। যাতে সকলের নজর কাড়ে এটি। কিন্তু সেই সিদ্ধান্তই কাল হয়। প্রথম দিন থেকেই মানুষ রেগে আগুন ওটা দেখে।
শহরবাসীর এই অসন্তোষ ক্রমশ বাড়তেই থাকে। অধিকাংশ মানুষই ওই শিল্পটিকে সিটি গ্যালারির ছাদে রাখাটা মেনে নিতে পারছিলেননা। ওই ভাস্কর্যেই প্রবল আপত্তি ছিল সকলের।
এভাবে ৫ বছর শহরবাসীর ক্ষোভ সহ্য করেও সেটিকে সরানো হয়নি। কিন্তু এবার আর ওটা রাখার ঝুঁকি নিল না শহর প্রশাসন। ওই শিল্পকীর্তিটি আপাতত অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হয়েছে। সেখানেই কোথাও সেটিকে স্থাপন করা হবে।