২ জন সাঁতার কাটার সময় বিপদে পড়েছেন, ফোন পেয়ে খোঁজ শুরু করেও বন্ধ করল পুলিশ
২ জন মানুষ সাঁতার কাটার সময় বিপদে পড়েছেন। এমন ফোন পাওয়ার পরই পুলিশ তৎপর হয়। আকাশপথেও খোঁজ শুরু হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই খোঁজ বন্ধ করে পুলিশ।

খবরটা এসেছিল পুলিশের কাছে ফোনে। ফোন করেছিলেন কোনও এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। তিনি ফোনে জানান, সমুদ্রের তীরের কাছেই ২ জন মানুষ জলে সাঁতার কাটার সময় বিপদে পড়েছেন। তাঁরা একটা অদ্ভুত আওয়াজও করছেন। যাতে দ্রুত তাঁদের রক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয় সেজন্য পুলিশকে অনুরোধ করেন ওই ব্যক্তি।
ফোনটা পাওয়ার পর আর সময় নষ্ট করেনি পুলিশ। দ্রুত খবর যায় উপকূলরক্ষী বাহিনীর কাছে। মাতুয়া সমুদ্রতটের কাছে শুরু হয় সমুদ্রে তল্লাশি। আকাশপথে তল্লাশি শুরু হয়। তাউরাঙ্গা কোস্টগার্ড যেমন জলে খোঁজ শুরু করে, তেমনই হেলিকপ্টারে একটি উদ্ধারকারী দল আকাশপথে ২ জনকে খোঁজার চেষ্টা করে।
কিন্তু সমুদ্রে তারা কাউকেই দেখতে পাচ্ছিল না। তল্লাশি অবশ্য থামেনি। ৪৫ মিনিট তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালানোর পর আচমকাই পুলিশের তরফে সেই উদ্ধার অভিযানে ইতি টানার কথা জানানো হয়।
কাউকে খুঁজে পাওয়ার আগেই কেন তল্লাশি বন্ধ করল পুলিশ? নিউজিল্যান্ডের পুলিশ আসলে সত্যিটা জানতে পেরেই তল্লাশি থামায়। কারণ তারা খোঁজ করতে বেরিয়ে জানতে পারে যে ২ জন মানুষকে জলে হাবুডুবু খেতে দেখেছিলেন ওই ব্যক্তি তারা মানুষ নয়, আসলে ২টি রাজহাঁস।
এই বিশেষ প্রজাতির ২টি রাজহাঁস জলে ভেসে বেড়ানোর সময় অদ্ভুত শব্দ বার করছিল। সেটা দূর থেকে শুনে ওই ব্যক্তির মনে হয়েছিল ২ জন জলে বিপদে পড়েছেন। সাহায্য চাইছেন। ওই ব্যক্তি ফোন করায় অবশ্য একেবারেই রাগেনি পুলিশ বিভাগ। বরং তাঁর এই সন্দেহ করেও ফোন করার তারিফই হয়েছে।