তখনও শেষ বিকেলের আলোটা লেপ্টে আছে বিশাল প্রান্তর জুড়ে। গরু চড়ানো শেষ। তাই ক্লান্ত দেহটা নিয়ে আলতো পায়ে মাঠেই ঘুরছিলেন নিউজিল্যান্ডের রোটোরুয়ার নর্থ আইল্যান্ডের এক কৃষক। এমন সময়ে আচমকাই তাঁর সামনের সবুজ প্রান্তর ফেটে যেতে শুরু করে। ক্রমশ ২ ভাগ হয়ে তা ২ পাশে সরে যায়। সবুজ প্রান্তরের মাঝে তৈরি হয় এক বিশাল গহ্বর। ২টি ফুটবল মাঠ ঢুকে যেতে পারে এতটাই এলাকা জুড়ে ফাটল তৈরি হয়। আর সেখানে মাটি ২ ধারে সরে গিয়ে যে গহ্বর তৈরি করে তা কমপক্ষে ৬ তলা বাড়ির সমান।
রামায়ণে সীতার অকুল প্রার্থনায় ধরণী দ্বিধা হয়েছিল। নিউজিল্যান্ডে কিন্তু আপন খেয়ালে ধরণীর দ্বিধা হওয়া চর্মচক্ষে দেখলেন ওই কৃষক। খবর ছড়াতে বেশিক্ষণ লাগেনি। আশপাশের উৎসাহী মানুষ ছুটে আসেন ফাটল দেখতে। পুরো গহ্বরের ধার ধরে বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে হাজির হচ্ছেন নানা প্রান্তের বিজ্ঞানী, গবেষকরা। কিন্তু কেন এমন দানবীয় ফাটল? এক বিশেষজ্ঞের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে সবুজ চারণভূমির নিচে গহ্বর তৈরি হচ্ছিল। যা নিজের মত করে বড় হয়েছে। কিন্তু ওপর থেকে তা দেখে বোঝার উপায় ছিলনা। এদিন সেই ফাঁপা গহ্বরের কারণেই মাটি ফেটে সরে গেছে। আপাতত এই অতিকায় ফাটল নিয়ে রীতিমত চর্চা শুরু হয়েছে বিশ্ব জুড়ে।