একদম আইন মেনে বন্দুক কিনে ক্রাইস্টচার্চের নুর মসজিদ ও নিলউড মসজিদে হত্যালীলা চালায় বন্দুকবাজেরা। নিউজিল্যান্ডে সেমি-অটোমেটিক বন্দুক কেনার জন্য লাইসেন্স সহজেই মেলে। সেই সুযোগই কাজে লাগায় তারা। ফলে আগামী দিনে এমন ঘটনা রুখতে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে সেমি-অটোমেটিক বন্দুক কেনার জন্য ঢালাও লাইসেন্সের সুযোগ। ক্রাইস্টচার্চে বন্দুকবাজের হামলার তীব্র নিন্দা করে এমনই জানিয়ে দিলেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। তিনি জানান, ২টো সেমি-অটোমেটিক ও ২টি শটগান পাওয়া গিয়েছে বন্দুকবাজদের কাছ থেকে।
এই অবস্থায় নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইনই কিন্তু মূল সমস্যার কারণ বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী। শান্তিপ্রিয় দেশ নিউজিল্যান্ডে এমন ঘটনায় দেশ জুড়েই এখন আতঙ্কের পরিবেশ। বন্দুকবাজদের এই হত্যালীলার নুর মসজিদ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ স্ট্রিমিংও হয়। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জানান বন্দুকবাজদের নেতা ব্রেন্টন ট্যারান্ট অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। ২৮ বছরের এই যুবক নিউজিল্যান্ডের আইন মেনেই ২০১৭ সালে অস্ত্রে কেনে। তারপর সেই অস্ত্রকেই এই হত্যালীলায় কাজে লাগায়। এই অবস্থায় দেশের অস্ত্র আইন যে বদলাচ্ছে তা পরিস্কার করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে যারা এই হামলা চালাল তাদের জঙ্গি হিসাবে কোনও তালিকায় নাম পাওয়া যায়নি। অথচ তারা কয়েক বছর ধরে এই হামলার ছক কষে। তারপর ক্যাটাগরি এ নিয়মে তারা নিউজিল্যান্ড থেকে আইনত বন্দুক কিনে সেখানেই রক্তের হোলি খেলল।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)