সব সম্পর্কেই ভুল বোঝাবুঝির মুহুর্ত গড়ে উঠতে পারে। তা একসময় মিটেও যায়। কিন্তু নাইজেরিয়ার লাগোস শহরের বাসিন্দা কেলেচি ইউগু-র সঙ্গে তার প্রেমিকের ঝামেলা কিছুতেই যেন শেষ হচ্ছিল না। পেশায় রাঁধুনি যুবতীর সঙ্গে ভালই সম্পর্ক ছিল প্রতিবেশি যুবক এমেকা এগুইয়ের। এমেকার বাড়িতে আসতেন তাঁর এক বন্ধু। সেই বন্ধুর সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কেলেচির। ভালই চলছিল। কিন্তু কোথা থেকে কি যে হয়ে যায়! হঠাৎ বছর ২৫-এর কেলেচির সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে তার প্রেমিকের।
গত ১২ মার্চ যুবতীর প্রেমিক ফের দেখা করতে আসেন এমেকার সঙ্গে। এমেকার বাড়িতে প্রেমিকের আসার খবর পেয়ে রাগ ও সন্দেহের বিষ জমাট বাঁধে কেলেচির মনে। এমেকাই কি তাহলে কান ভাঙানি দিয়ে তাঁদের ২ জনের সম্পর্কে ভাঙন ধরাতে চাইছেন?
এই সন্দেহ কুড়ে কুড়ে খেতে থাকে যুবতীকে। অবশেষে বুকের ভিতর ধিকিধিকি জ্বলতে থাকা আগুন দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে, যখন কেলেচি বুঝতে পারে, এমেকা তার প্রেমিকের আসার খবর তাকে জানানোর প্রয়োজনই বোধ করেননি। কেন এমেকা তাঁর বন্ধুর সঙ্গে কেলেচির সম্পর্ক আগের মত জোড়া লাগাতে সাহায্য করছে না?
প্রতিবেশির সঙ্গে এই নিয়ে ঐদিন সন্ধ্যায় একপ্রস্ত কথা কাটাকাটি শুরু হয় ওই যুবতীর। অভিযোগ, ঝগড়া করতে করতে আচমকা কেলেচি এমেকার ওপর চড়াও হয়। নখ দিয়ে প্রতিবেশির শরীর ক্ষতবিক্ষত করে দেয় সে। প্রবল জোরে চেপে ধরে এমেকার অণ্ডকোষ। আর সেই সময়ে আঙুলের ভয়ংকর চাপে ফেটে যায় অণ্ডকোষটি।
গুরুতর জখম এমেকাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এমেকার অভিযোগের ভিত্তিতে যুবতীকে পরে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।