৩ তলা বাড়িটিতে চলছিল স্কুলের পঠনপাঠন। পড়ুয়ারা নিজেদের পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা পড়াচ্ছিলেন বিভিন্ন ক্লাসে। সব মিলিয়ে সেই সময় স্কুলটিতে ১০০-র বেশি পড়ুয়া উপস্থিত ছিল। প্রাইমারি স্কুলটির সব পড়ুয়াই শিশু বা বালক-বালিকা।
বুধবার সকালে স্কুলে পঠনপাঠন চলাকালীন হঠাৎই ধসে পড়ে প্রাইমারি স্কুলের ৩ তলা বাড়িটি। সেই সময় বিভিন্ন ক্লাসে ১০০-র বেশি বাচ্চা উপস্থিত ছিল। ৩ তলা বাড়িটির একদম উপরের তলায় ছিল স্কুল। নাইজেরিয়ার লাগোস শহরে ঘটা এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর অভিভাবকদের মধ্যে প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাচ্চাদের অভিভাবকরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পুরো এলাকা বিষাদময় হয়ে ওঠে তাঁদের কান্নার রোলে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারীদল উপস্থিত হয়। দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও মৃতের খবর পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকাজ চলছে।
নাইজেরিয়ার বাড়ি ধসে মৃত্যু নতুন কিছু নয়। সরকারি বিধিনিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অতিনিম্নমানের নির্মাণকাজ হামেশাই এই ধরণের দুর্ঘটনার কারণ হয়। লাগোস শহরেই গত ২০১৬ সালের ৮ মার্চ একটি বাড়ি ভেঙে ৩০ জনের মৃত্যু হয়।
ওই বছরেরই ডিসেম্বরে উয়ো শহরে একটি চার্চের ছাদ ভেঙে পড়ায় প্রাণ হারান ৬০ জন মানুষ। লাগোসেই ২০১৪ সালে আরও একটি ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ৬ তলা একটি বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হয় ১১৬ জনের। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা