রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রবিবার এনআরএস হাসপাতালে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল। অভিযোগ, রোগীর পরিবারের হাতে ব্যাপক মার খান জুনিয়র ডাক্তাররা। ছাড় পাননি মহিলা ডাক্তাররাও। অবশেষে পুলিশ এসে অবস্থা আয়ত্তে আনে। প্রতিবাদে জরুরি বিভাগে কর্মবিরতি শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ফলে অনেক রোগী চিকিৎসা পেতে মুশকিলে পড়েন। অনেক রোগীর পরিবার ঝুঁকি না নিয়ে দ্রুত অন্য হাসপাতালে রোগী নিয়ে ছোটেন।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকালে। তপসিয়ার বাসিন্দা অসুস্থ পারভেজ হোসেনকে নিয়ে তাঁর পরিবারের লোকজন প্রথমে ন্যাশনাল মেডিক্যালে যান। সেখান থেকে এনআরএসে রেফার করা হয়। পারভেজের পরিবারের দাবি, নীলরতন সরকার হাসপাতালে নিয়ে আসার পর পারভেজকে সিটি স্ক্যান করতে পাঠানো হয়। কিন্তু সিটি স্ক্যান যেখানে করা হয় সেখান থেকে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় জরুরি বিভাগে। সেখানে পারভেজকে নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে দেখতে দীর্ঘক্ষণ কোনও ডাক্তার আসেননি। পরে এক ডাক্তার এসে তাঁকে একটি ইনজেকশন দেন। তার কিছুক্ষণ পরই বছর ৩৭-এর পারভেজের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে এরপরই জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর চড়াও হন রোগীর আত্মীয় ও পাড়ার লোকজন। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়। বেশ কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহের শিকার হন। অভিযোগ, মহিলা ডাক্তাররাও রোগীর আত্মীয়দের নিগ্রহের হাত থেকে রেহাই পাননি। এরপর পুলিশ এসে অবস্থা আয়ত্তে আনে। ডাক্তারদের নিগ্রহের অভিযোগে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে ঘটনার পর জরুরি বিভাগে কাজ বন্ধ করে দেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ফলে দূরদূরান্ত থেকে মুমূর্ষু রোগী নিয়ে আসা রোগীর পরিবার আতান্তরে পড়েন। অনেকে অন্য হাসপাতালে রোগী নিয়ে পাড়ি দেন।