এনআরএস কাণ্ডের জেরে ১ জুনিয়র ডাক্তার আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি নিউরো সায়েন্সে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছেন তিনি। আঘাত নিয়ে ভর্তি আরও এক জুনিয়র ডাক্তার। রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার মধ্যরাতে যেভাবে এনআরএস হাসপাতালে তাণ্ডব চালান রোগীর পরিজনেরা। যেভাবে জুনিয়র ডাক্তারদের মারধর করা হয়, তার জেরেই ২ জুনিয়র ডাক্তার হাসপাতালে। রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে ধুন্ধুমার এই প্রথম নয়। এর আগেও এমন কাণ্ড বারবার ঘটেছে। ডাক্তারদের ওপর চড়াও হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। মঙ্গলবার তার প্রতিবাদে সুর চড়িয়েছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিনিয়র ডাক্তাররাও।
রোগী মৃত্যুকে ঘিরে ডাক্তারদের ওপর বিভিন্ন সময়ে চড়াও হওয়ার ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তাঁদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে মঙ্গলবার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে কাজ বন্ধ করে প্রতিবাদ অবস্থান শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর সন্ধেয় সিনিয়র ডাক্তারদের ফোরাম জানিয়ে দেয় তারাও জুনিয়র ডাক্তারদের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত। তাই তাঁদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি ফোরামের তরফ থেকেও জানানো হচ্ছে। ডাক্তারদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তারা বুধবার ১২ ঘণ্টার জন্য রাজ্যের সব হাসপাতালে বহির্বিভাগ বা ওপিডি বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছে।
বুধবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত রাজ্যের সব হাসপাতালে এই পরিষেবা বন্ধ রাখছেন ডাক্তাররা। তাঁরা ওই সময় আউটডোরে কোনও রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন না। ডাক্তারদের মূল ক্ষোভ পুলিশের বিরুদ্ধে। রাতে যখন এনআরএস হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তাররা মার খান তখন দুষ্কৃতিদের রুখতে পুলিশ যথেষ্ট তৎপরতা দেখায়নি বলে বুধবার দাবি করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। পরে সিনিয়র ডাক্তাররাও একই প্রসঙ্গ সামনে আনেন। তাঁদেরও অভিযোগের তির ছিল পুলিশের দিকে। তাঁদেরও দাবি, ডাক্তারদের সুরক্ষা বন্দোবস্ত সুনিশ্চিত করার পাশাপাশি তাণ্ডবকারীদের চিহ্নিত করে পুলিশের অবিলম্বে গ্রেফতার করা উচিত।
বুধবার দিনভর আউটডোর পরিষেবা বন্ধ মানে কিন্তু তার ফল ভুগতে হবে রোগীদের। কারণ প্রতিটি হাসপাতালে প্রতিদিন বহু রোগী দূরদূরান্ত থেকেও আউটডোরে দেখাতে আসেন। তাঁরা মুশকিলে পড়বেন। মুশকিল হবে অন্য রোগীদেরও। মঙ্গলবারও এনআরএস হাসপাতালে প্রায় সব বিভাগেই চিকিৎসা পরিষেবা লাটে ওঠায় বহু রোগীকে নিয়ে ফিরে যান রোগীর আত্মীয়েরা। অনেক মুমূর্ষু রোগীকে নিয়ে চিন্তিত পরিজনেরা ছোটেন অন্য হাসপাতালে।