সকাল থেকে বন্ধ সব হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা। এনআরএস-এর দরজাতেই তালা দেওয়া। ফলে সেখানে কোনও বিভাগেই নতুন করে চিকিৎসার সুযোগ নেই। রোগীদের নিয়ে হিমসিম খাচ্ছেন তাঁদের আত্মীয়েরা। এদিকে এনআরএস কাণ্ডের জেরে এদিনও জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতিতে। অবস্থান ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এই অবস্থায় এদিন বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ এনআরএস হাসপাতালের সামনে পথ অবরোধ করেন রোগীদের আত্মীয়েরা। তাঁদের হাতে ছিল বাঁশ।
রোগীর আত্মীয়রা জানিয়ে দেন যতক্ষণ না এনআরএস হাসপাতালে তাঁদের রোগীদের চিকিৎসা করা শুরু হবে ততক্ষণ তাঁরা রাস্তাতেই অবরোধ করে বসে থাকবেন। অবরোধের জেরে শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা, ব্যস্ত এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অফিসযাত্রী থেকে অন্য কাজে বার হওয়া মানুষজন বাসে বা গাড়িতে বসে গলদঘর্ম হতে থাকেন। অনেকে গাড়ি ঘুরিয়ে অন্যভাবে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এদিকে বিজেপির লালবাজার অভিযান ঘিরে মধ্য কলকাতার অন্য রাস্তাগুলিতেও যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সমস্যা আরও জটিল হয়।
১১টার পর পুলিশ এসে অবরোধকারীদের সরিয়ে রাস্তা ফাঁকা করার উদ্যোগ নেয়। বিক্ষোভকারীদের জোর করে রাস্তার ওপর থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে এক এক করে গাড়ি পাস করাতে থাকে। ফলে ক্রমশ রাস্তা ফের স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে যানজট ততক্ষণে যথেষ্ট বড় আকার নিয়েছে। এদিকে পুলিশ সরিয়ে দিলে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েই ক্ষোভ উগরে দেন রোগীর আত্মীয়েরা।