মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন দ্রুত কাজে যোগ দিতে। কিন্তু তাতে তাঁরা রাজি নন বলে পরিস্কার বুঝিয়ে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে এনআরএস হাসপাতালে এসে আশ্বাস দিতে হবে যে ডাক্তারদের ওপর আগামী দিনে কোনও হামলার ঘটনা ঘটবে না। প্রতিটি হাসপাতালে সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য পেশ করেছেন বলেও দাবি করেন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, এজন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে হবে। এদিকে এনআরএস তো বটেই সারা রাজ্যেই কার্যত শিকেয় উঠেছে চিকিৎসা পরিষেবা। যার ফল ভুগতে হচ্ছে রোগীদের। রেহাই পাচ্ছেনা শিশুরাও।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএম হাসপাতালে থাকাকালীনই জরুরি বিভাগে চিকিৎসা পরিষেবা চালু করে দেওয়া হয়। পরে মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে গেলেও স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা হাসপাতালে পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবিতে সোচ্চার হন। অন্যদিকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের ১১ জন চিকিৎসক এদিন ইস্তফাপত্র জমা দেন। এদিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে বিক্ষোভরত জুনিয়র ডাক্তাররা যে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন তা ভেঙে সেখানে চিকিৎসা পরিষেবা চালু করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আবার এনআরএস হাসপাতালে উত্তেজনা ছড়ায়। সেখানে বিক্ষোভরত জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, বেশ কয়েকজন বহিরাগত তাঁদের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে। তাঁদের লক্ষ্য করে ইট, জলের বোতল ছোঁড়া হয়। ২ পক্ষে এনআরএস-এর গেটের সামনে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে এদিন রাজ্য জুড়েই বিভিন্ন জায়গায় টুকরো ছবি ধরা পড়েছে। অনেক হাসপাতালেই রোগীদের নিয়ে আতান্তরে পড়া আত্মীয় পরিজনকে দিশেহারা হয়ে চোখের জল ফেলতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জুনিয়র ডাক্তারদের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করে। ৫ সদস্যের সেই প্রতিনিধি দল দেখা করে বেরিয়ে জানিয়ে দেয় তারা তাদের দাবিদাওয়া রাজ্যপালকে জানিয়েছে। তিনি সব শুনেছেন। তবে জুনিয়র ডাক্তাররা এটাও পরিস্কার করে দেন, যতক্ষণ না তাঁদের দাবি পূরণ হচ্ছে ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলনে অনড় অবস্থান ধরে রাখবেন।