তাঁকে পাকড়াও করার আগেই দেশ ছেড়ে চম্পট দিলেন হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদী। ঠিক যেমনভাবে আগেভাগেই দেশ ছেড়ে চম্পট দিয়েছিলেন লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়া। নীরব মোদী শুধু ব্যবসায়ী নন, একটা ব্র্যান্ড। তাঁর ডিজাইন করা হিরের গয়না বিকোয় কোটি কোটি টাকায়। তাঁর বিরুদ্ধে আগেই ২৮০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির মামলা শুরু হয়েছিল। এবার কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে এল কেউটে! দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের মুম্বইয়ের একটি শাখা থেকে ১১ হাজার কোটি টাকার ওপর অবৈধ লেনদেনেও জড়াল নীরব মোদীর নাম। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির মামলা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নীরব মোদীর দেশ জুড়ে যেখানে যত সম্পত্তি রয়েছে, সেখানে বৃহস্পতিবার হানা দেয় ইডি। কিন্তু যাঁকে নিয়ে এতকিছু সেই কোটিপতি হিরে ব্যবসায়ীর টিকি ছোঁয়া এখন কার্যতই মুশকিল।
জানা গেছে, হিরে ব্যবসায়ী নাকি এখন বহাল তবিয়তে রয়েছেন সুইৎজারল্যান্ডে। দেশ থেকে অনেক দূরে। সঙ্গে রয়েছেন এই আর্থিক দুর্নীতিতে তাঁর সঙ্গেই নাম জড়ানো তাঁর মামা মেহুল চোকসি। পিএনবি-র তরফে ১১ হাজার কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনে নীরব মোদীর বিরুদ্ধে থাকা যাবতীয় প্রমাণ সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ইডি নীরব মোদীর বিরুদ্ধে ‘ফেমা’য় আলাদা করে মামলা রুজু করেছে বলেই খবর। দেশে থাকলে এই অবস্থায় নীরব মোদীর ছাড় পাওয়া দুষ্কর হত। হয়তো তা আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিলেন তিনি। তাই দেশ ছেড়ে চম্পট দিয়েছেন। যা অবস্থা তাতে ইতিমধ্যেই জালিয়াতির হাতযশে বিজয় মালিয়াকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন এই হিরে ব্যবসায়ী। এখন দেখার তদন্তে আরও কত কাণ্ড সামনে বেরিয়ে আসে।