পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত হিরে ব্যবসায়ী নীরব মোদীকে গ্রেফতার করল লন্ডন পুলিশ। বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে লন্ডনের রাস্তায় তাঁকে ঘুরতে দেখা যায়। সেই ছবি ধরা পড়ে ক্যামেরায়। ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।
দামি পোশাকে গোঁফ, চুল বাড়ানো নীরব মোদী লন্ডনের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন, অথচ তাঁকে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশ থাকা সত্ত্বেও গ্রেফতার করা যাচ্ছে না? এ প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্র দাবি করে লন্ডনের অভিজাত এলাকায় বহুমূল্য ফ্ল্যাটে থাকছেন নীরব মোদী। লন্ডনে একটি হিরের দোকানও খুলে ফেলেছেন। সবই হচ্ছে অথচ তাঁকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছে না।
পিএনবি দুর্নীতি সামনে আসার ঠিক আগের দিনই নীরব মোদী ও এই আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে আর এক অভিযুক্ত তাঁর মামা মেহুল চোকসি ভারত ছেড়ে চম্পট দেন। ইডি ও সিবিআই তাঁদের ফেরাতে চেষ্টা শুরু করে। কিন্তু কখনও তাঁরা হংকংয়ে তো কখনও তাঁরা নিউ ইয়র্কে, তো কখনও অন্য শহরে তাঁদের ঝলক দেখা যেতে থাকে। কিন্তু পাকড়াও করা সম্ভব হয়নি। ইডি বা সিবিআইয়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁরা ভারতে ফেরেনওনি। অবশেষে ইডি-র অনুরোধে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে নীরব মোদীকে ধরতে ইন্টারপোল তাঁর বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করে।
তারপরও বহুদিন কেটে গেলেও নীরব মোদীর টিকি ছুঁতে পারেনি কেউ। লন্ডনের রাস্তায় তাঁকে দেখতে পাওয়ার পরই ফের তাঁকে ফেরানোর জন্য ভারত ব্রিটেনকে অনুরোধ করে। এদিকে তাদের শহরেই বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ানো রেড কর্নার নোটিশ জারি হওয়া এক ব্যক্তিকে নিয়ে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়ে ব্রিটেন সরকারও।
১ সপ্তাহ আগে নীরব মোদীকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেয় ব্রিটেনের ওয়েস্টমিনস্টার আদালত। তারপর বুধবার তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ভারত থেকে ১৪ মাস আগে চম্পট দেন মামা-ভাগ্নে।
সেই ভাগ্নে নীরব মোদী অবশেষে ধরা পড়লেন পুলিশের জালে। কিন্তু লন্ডন পুলিশের। তাঁকে ব্রিটেন ভারতে ফেরাবে কিনা তা অবশ্যই বড় প্রশ্ন। যেমন তারা ফেরায়নি লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়াকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা